ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া লক্ষ্যটা একেবারে কম ছিল না। বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের জন্য সেটি মামুলিই মনে হচ্ছিল একপর্যায়ে। শেষ দিকে তার বিদায়, এর পর দ্রুত মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজ দেয় ম্যাচে ফিরে আসে দারুণভাবে। তবে শেষমেশ খুশদিল শাহর ২৩ বলে ৪১ রানের ক্যামিও ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় এনে দেয় পাকিস্তানকে।
শুরুতে ব্যাট করে কাইল মেয়ার্সকে দ্রুত হারালেও শাই হোপ আর শামরাহ ব্রুকসের ১৫৪ রানের জুটিতে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায় উইন্ডিজ। রানের গতিটা কিছুটা কম ছিল তখনো। শাদাব খানের দুর্দান্ত ক্যাচে ব্রুকস যখন ফিরছেন দলীয় ১৬৩ রানে, তখন চলছিল ইনিংসের ৩১তম ওভার।
ব্রুকসের বিদায়ের পর অবশ্য রান তোলায় মনোযোগ দেয় উইন্ডিজ। পরের ১০ ওভারে ২ উইকেট হারালেও রান উঠছিল ওভারপ্রতি ছয়েরও বেশি করে। তাতে ৪০ ওভার শেষে দলের রান দাঁড়ায় ২১৮।
৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ১০ ওভারে ঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল উইন্ডিজ। শেষমেশ সেটি করেও ছেড়েছে। হোপ ইনিংসের ৪৫তম ওভারে ফিরলেও রোমারিও শেফার্ড আর রভম্যান পাওয়েলের ২০ বলে ৪১ রান করেন। ক্যারিবীয়রা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৫ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তানকে।
তবে শুরুতে ওপেনার ফখর জামানকে হারালেও ইমাম উল হক আর বাবরের কল্যাণে স্বাগতিকরা পান দারুণ ভিত, দলীয় ১২৯ রানে ইমাম ফেরেন। এর পর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে একটু একটু করে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন পাকিস্তান অধিনায়ক। পেয়ে যান তিন ইনিংসের সেঞ্চুরিও। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুই ইনিংসে পেয়েছিলেন তিন অঙ্কের দেখা। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এ কীর্তি গড়লেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে যে কীর্তি নেই আর কারও!
তবে এর পরই ছন্দপতন ঘটে তার। ইনিংসের ৪২তম ওভারে বাবর যখন ফিরছেন, জয় থেকে তখনো ৬৯ রানের দূরত্বে ছিল পাকিস্তান। বাবরের সঙ্গী রিজওয়ানও ফেরেন ফিফটির পর, পাকিস্তানের প্রয়োজন তখনো ৩২ বলে ৫০।
এর পরই শুরু খুশদিলের তাণ্ডব। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে টানা তিন ছক্কা হাঁকান তিনি। তাতেই জয়ের পথটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে আসে পাকিস্তানের জন্য। খুশদিল পরে ছক্কা হাঁকিয়েছেন আরও একটি। তাতে মাঝে শাদাব খানকে হারিয়েও বড় বিপদে পড়েনি পাকিস্তান। ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় ইনিংসের ৪ বল হাতে রেখেই।
(আহৃত)