বাংলার আকাশ ডেস্ক
ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা তুঙ্গে। নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলোচনা অনুযায়ী, আগামী ৭ বা ৮ ডিসেম্বর তারিখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ভোট গ্রহণের দিনকে কেন্দ্র করে দেশে দুই দিনের সরকারি ছুটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই খবরটি সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শেষ। এখন শুধু তফসিল ঘোষণার চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ বাকি। কমিশনের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে একাধিক সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হলেও, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
ইসি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে, যাতে সকল রাজনৈতিক দল সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে।
নির্বাচনের দিনকে কেন্দ্র করে সরকারি ছুটি ঘোষণা একটি প্রথাগত প্রক্রিয়া। তবে, এবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়ায় দুই দিনের সরকারি ছুটি থাকার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে।
১. প্রথম দিন (ভোটের দিন): সাধারণত ভোটের দিনটি সারাদেশে সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সকল ভোটারকে যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া যায়। এই দিন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
২. দ্বিতীয় দিন (নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ছুটি): দ্বিতীয় দিনের ছুটিটি মূলত ভোটের আগের দিন অথবা ভোটের পরের দিন হতে পারে। এটি বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দূরবর্তী ভোটারদের জন্য যাতায়াত ও প্রস্তুতির সুবিধার জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে, দ্বিতীয় দিনের ছুটিটি তফসিল ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হবে।
এই খবরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তফসিল ঘোষণার আগেই তাদের চূড়ান্ত কৌশল নির্ধারণের কাজ করছে। অনেকে মনে করছেন, দ্রুত তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচনী পরিবেশ আরও স্থিতিশীল হবে।
অন্যদিকে, সাধারণ জনগণ নির্বাচনের তারিখ এবং সরকারি ছুটির দিকে তাকিয়ে আছে। দুই দিনের সরকারি ছুটি থাকার সম্ভাবনায় অনেক দূরবর্তী ভোটার এবং যারা ছুটিতে বাড়ি ফিরে ভোট দিতে চান, তাদের জন্য এটি একটি স্বস্তিদায়ক খবর। তবে, সকলের মূল প্রত্যাশা হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, যেখানে তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।
৭ বা ৮ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ এবং দুদিনের সরকারি ছুটির খবরে দেশজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া আরও জোরদার হচ্ছে। এখন সকল মহলের দৃষ্টি নির্বাচন কমিশনের দিকে, কবে আসে সেই চূড়ান্ত ঘোষণা।