বাংলার আকাশ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তার এই সফর। সফরকালে নানা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিয়েছেন।
ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু ও নতুন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় দুই নেতার কণ্ঠে ছিল সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার অভিন্ন সুর।
বৈঠকের পর সই হয় সাতটি সমঝোতা স্মারক। বেশকিছু প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পোস্টমর্টেম করছেন বিশ্লেষকরা। তারা সফর নিয়ে ব্যক্ত করছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বের চেতনায় বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আলোচনায় ছিল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি, পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে অগ্রগতি মূল্যায়ন করেছেন দুই নেতা। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি এবং ব্লু ইকোনমির মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও তারা একমত। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বরাবরের মতোই এবারও অধরা রয়ে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে ২০১১ সাল থেকে চুক্তিটি ঝুলে আছে। তবে এবার কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলনে সমঝোতা স্মারক হয়েছে। বৈঠক শেষে ৩৩ দফার যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সাক্ষাৎ করেছেন।
ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় হয়েছে। তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। দিল্লিতে নিজামউদ্দিন আউলিয়া এবং আজমিরে গরিবে নেওয়াজখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির (রহ.) মাজার জিয়ারত করেছেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক পরিস্থিতি বিশেষ করে ভূ-রাজনীতি, রোহিঙ্গা সংকট, মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক পরিস্থিতি দুই নেতার আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনা থেকে বাদ যায়নি খাদ্য নিরাপত্তা ও জ্বালানি নিরাপত্তা প্রসঙ্গও।
উভয়পক্ষই আন্তঃসীমান্ত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণকাজ দ্রুত সমাপ্তির আশা করছে। যার মাধ্যমে আগামীতে ভারত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে উচ্চগতির ডিজেল পরিবহণ হবে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি নিয়ে সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
(আহৃত)