ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের পেসার শহীদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শাস্তির কথা জানায় আইসিসি। আইসিসির ডোপ-বিরোধী বিধি ভঙ্গ করেছেন ২৭ বছর বয়সি এই ডান-হাতি পেসার।
বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অ্যান্টি-ডোপিং বিধির ২.১ ধারা ভঙ্গ করেছেন শহীদুল।
তবে বিসিবির চিকিৎসক মনজুর হোসেন জানালেন, এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। না বুঝেই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ার ফলে এমনটা হয়েছে।
আসলে কী করেছিলেন শহিদুল, যে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলেন? বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কী ভাবছে?
এমন সব প্রশ্নের জবাবে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের দাবি, শহীদুল যে ওষুধ গ্রহণ করেছিল, তা কোনো নিষিদ্ধ ওষুধ ছিল না। শহীদুল কোন বলবর্ধক ওষুধ নেননি।
তবে কি আইসিসি নির্দোষ শহীদুলকে শাস্তি দিয়ে দিল?
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিসিবি প্রধান নির্বাহী জানালেন, শহীদুলের একটি ভুল হয়েছে। যেমন ভুল করে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এবার শহীদুলে মাশুল গুনতে হয়েছে।
নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘সবার আগে যেটা জানানো দরকার তাহলো শহিদুল কিন্তু কোন বলবর্ধক ওষুধ গ্রহণ করেনি। এবং যে ওষধ গ্রহণের জন্য তার ডোপ টেস্ট পজিটিভ এসেছে, সেটাও কোন নিষিদ্ধ নয়। একদম চিকিৎসকের লিখিত অনুমতি নেওয়া ওষুধ ছিল সেটা। কিন্তু শহীদুল এখানে একটি ভুল করেছে। সে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে ওই ওষুধটি খেয়েছে; ওই ওষুধের কথা আমাদের বিসিবির চিকিৎসকদের জানায়নি সে। তাদের জানালে বিষয়টি অন্যরকম হতে পারত।’
এরপর বিসিবির এ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, ‘বলতে পারেন, শহীদুলের কেসটি অনেকটা সাকিবের এক বছর নিষিদ্ধ হওয়ার মত ঘটনা। সাকিব যেমন কোনো অন্যায় না করেও জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাবের খবর বিসিবি বা আইসিসি দুর্নীতি দমন সংস্থাকে না জানিয়ে আইসিসির চোখে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছিল। ঠিক একই ঘটনা ঘটিয়েছে শহীদুল। সে যে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে একটি ওষুধ খাচ্ছে, যা ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসতে পারে, তা আমাদের বিসিবির চিকিসককে জানানো উচিৎ ছিল।’
বিসিবি সিইও আরও বলেন, ‘যেহেতু আইসিসি তদন্ত করে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে, তাই শহীদুলের শাস্তি হয়েছে।’
এরপরও প্রশ্ন থেকে যায়, এমন বোকামো কেন করলেন বাংলাদেশের এই পেসার? কি ছিল সেই ওষুধ? কেন খাচ্ছিলেন তিনি?
একটি সূত্র জানায়, শহীদুল এবং তার স্ত্রী সন্তান ধারনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধটি গ্রহণ করছিলেন। কাউকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করেননি। আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল তার ক্যারিয়ারে।
(আহৃত)