বিনম্র শ্রদ্ধা, গভীর শোক এবং হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে। জীবনে সার্থক, দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পোদ্যোক্তা, সাহসের বাতিঘর এবং আজীবন সংগ্রামী মানুষটির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ছিল বুধবার। এ উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল-বনানী কবরস্থানে প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণসভা, কুরআন খতম, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল। এতে পরিবারের সদস্য, স্বজন, প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী এবং গুণগ্রাহীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বপ্নদ্রষ্টার রেখে যাওয়া কাজ এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তার পরিবার, সহকর্মী এবং স্বজনরা।
তারা বলেন, সাহসী এই শিল্পোদ্যোক্তা আজ সশরীরে বেঁচে নেই। কিন্তু রেখে গেছেন, তার অমর সৃষ্টি বিশাল কর্মযজ্ঞ যমুনা গ্রুপের ৪১টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে আজ লাখো মানুষের কর্মসংস্থান। মানুষের রিজিকের ব্যবস্থা হবে অনন্তকাল ধরে। বুধবার বাদ জোহর দৈনিক যুগান্তরের প্রধান কার্যালয়ে মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল এবং স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যমুনা গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহমেদ দীপু, বিএম জাহাঙ্গীর, প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, যমুনা টেলিভিশনের যুগ্ম-প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, আবুল খায়ের চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বার্তা সম্পাদক হোসেন শহিদ মজনু, সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান আসিফ রশীদসহ সব বিভাগীয় প্রধান। অনুষ্ঠানে নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন যমুনা ফিউচার পার্ক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শরিফুল ইসলাম।
আহৃত