দেশে গত একদিনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিনে চেয়ে কমেছে। তবে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১০৫ নতুন রোগী শনাক্ত এবং ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ৮৯৭ জন এবং মৃত্যু হয় পাঁচজনের। তার আগে টানা চার দিন দুই হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছিল। নতুন শনাক্ত নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৭। এছাড়া সর্বশেষ ছয় মৃত্যুসহ মোট ২৯ হাজার ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১০৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। দেশে মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ জন করোনা পজিটিভ রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ সাত হাজার ৯৯০ জন।
তথ্যমতে, নতুন শনাক্ত এক হাজার ১০৫ জনের মধ্যে ৮৮৬ জনই ঢাকা বাসিন্দা। ঢাকা ছাড়াও আরও ৩১ জেলায় করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত একদিনে মারা যাওয়া ছয়জনের তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ। তাদের তিনজন সরকারি এবং তিনজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃতদের তিনজন ঢাকা বিভাগ, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগ এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে যায়। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে।
এবারের করোনার ঊর্ধ্বমুখী ধারার প্রকোপ মোকাবিলায় সরকারের একাধিক দপ্তর বেশ কিছু বিধি–নিষেধ দিয়েছে। তবে চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে বেশি অনীহা রয়েছে। কিন্তু এ ব্যপারে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যকর তৎপরতা কম। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করছেন, এখনই ভাইরাসটির লাগাম টানতে না পারলে সংক্রমণ পরিস্থিতি ফের ভয়াবহ হতে পারে।