শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি মিন্টু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করে মিন্টু মিয়া নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে মিন্টু মিয়া জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরেই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে তিনি একাই প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে প্রথমে তার শ্বশুর মনু মিয়াকে, পরে শ্যালক শাহাদাৎ হোসেনকে পর্যায়ক্রমে শাশুড়ি শেফালী বেগম, জ্যাঠাশ্বশুর নুর মোহাম্মদ ওরফে মাহমুদ হাজি, জ্যাঠি শাশুড়ি সাহেরা খাতুনকে এবং সবশেষে স্ত্রী মনিরা বেগমকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন।
পরে ব্যবহৃত দা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। কিছু দূর যাওয়ার পর ধরা পড়ার ভয়ে ক্ষেতের মধ্যে বোরকা ফেলে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি আমগাছে উঠে লুকিয়ে থাকেন। শুক্রবার ভোরে অন্যত্র চলে যাবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে শুক্রবার ভোরে পুলিশ তাকে ওই আমগাছ থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করে।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস আরও জানান, এ ব্যাপারে নিহত মনিরার ছোট বোন মিনারা বেগম বাদী হয়ে মিন্টু মিয়াসহ চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ সম্পন্ন করে এ মামলা চার্জশিট দেওয়া যাবে।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে শ্বশুর মনু মিয়া, জ্যাঠা শাশুড়ি সাহেরা খাতুন ও শ্যালক শাহাদাৎ হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন।
(আহৃত)