জায়েদ খান কেন্দ্র করে সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমা জগতে মৌসুমী-ওমর সানীকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের আসরে চড়-পিস্তলকাণ্ড; কত কিছুই না ঘটে গেল এই কয়েক দিনে। একই সঙ্গে ঢালিউডের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমীর সংসারে ভাঙনের গুঞ্জনও ভেসে ওঠে।
তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে ওমর সানী জানালেন, তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছে। গত দেড় বছরের দূরত্ব ক্রমেই কমে আসছে। দুই সন্তান ফারদিন-ফাইজা ও পুত্রবধূসহ বেশ সুখেই আছেন এ তারকা দম্পতি।
এসব খবরে ভক্তদের মনে স্বস্তি এলেও চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বক্তব্য শুনতে মুখিয়ে ছিলেন তারা।
এখনো কি প্রিয়দর্শিনীর মনে কিছু অভিমান ও ব্যথা রয়ে গেছে? কেমন কাটছে তার জীবন? তিনি কেন গণমাধ্যমের সামনে আসছেন না! লুকিয়ে আছেন কেন?
বুধবার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ভক্তদের সে কৌতূহল মেটালেন মৌসুমী।
জানালেন সেই বিতর্কিত ঘটনার পর নিজেকে আড়াল করে রাখছেন, অনেকটা শামুকের মতো।
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মৌসুমী লিখেছেন, ‘লুকিয়ে থাকতে চাইলেই লুকিয়ে থাকা যায়। সামনে যেটা থাকে সেটা শরীর। আমি এখন শামুকের মতো হয়ে গেছি। আড়াল করে নিজেকে নিয়ে আছি, এটিই স্বস্তি। যখন দিনের আলো দেখার সুযোগ হয়, নিজেকে বেমানান লাগে।’
এর পরই প্রসঙ্গ বদলে ফেলেন খাইরুন লো সুন্দরী। যেন পুরো কথা বলতে গিয়েও বললেন না।
লিখলেন সিলেটের বন্যাদুর্গত মানুষের কথা।
মৌসুমী লিখলেন, ‘সিলেটবাসীর কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। হয়তো সুযোগ হলে যাব, আপনারা সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে দাম্পত্য দূরত্ব মিটে গেছে জানিয়ে ওমর সানী অনুরোধ জানিয়েছিলেন, মৌসুমীকে নিয়ে বাজে কোনো মন্তব্য না ছড়াতে।
মৌসুমী ও তার দেওয়া বক্তব্যের কোনো কোনো জায়গায় এডিট করে তা প্রচার করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান সানী।
এক অডিওবার্তায় তিনি বলেন, গণমাধ্যমে আমার আগের দেওয়া বক্তব্য থেকে কিছু কিছু অংশ কেটে কেটে বাদ দিয়ে আপনারা অনেকে মৌসুমী ও আমাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা প্রচার করছেন। শুধু তাই-ই নয়, আমার আর মৌসুমীকে নিয়ে নিজের মতো করে সংলাপ বানিয়ে কেউ কেউ তা প্রচার করছেন। এটি বিভ্রান্তিকর কাজ। এগুলো বাদ দেন। এগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন। আমাদের মধ্যে যে সমস্যা ছিল, তা সবার দোয়া ও ভালোবাসায় মিটে গেছে। আমরা এখন একই ছাদের নিচে আছি, আমরা একসঙ্গে আছি এবং একঘরেই আছি। আমি, মৌসুমী, ছেলেমেয়ে ফারদিন, ফাইজা ও আমার ছেলের বউ আয়েশা— আমরা একসঙ্গে আছি, ভালো আছি এবং সুখে আছি।
(আহৃত)