মানিকগঞ্জের ঘিওরে মাজেদা বেগম (৩৩) নামে এক নারীকে হত্যার পর তার লাশ ধলেশ্বরী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের কুস্তা (নদীর পাড়) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আবুল ওই এলাকার মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে। নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাজেদা উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বালিয়াবাঁধা গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর মেয়ে। ১০ বছর আগে মাজেদার বিয়ে হয়েছিল রাজবাড়ীতে। বছর তিনেক আগে স্বামী নুরুল ইসলামের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। সেখানে তার দুই সন্তান রয়েছে। এর পর মাজেদা বাবার বাড়ি থেকে সাভারের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
গত সাত মাস আগে আবুল হোসেনের সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয় মাজেদার। বিয়ের পর থেকেই মাজেদা বেগমের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না আবুলের। প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ লেগে লাগত। বেশ কয়েক দিন পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে এবং মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল। গত পরশু দিন সাভারের আশুলিয়া থেকে স্বামীর বাড়ি রাত ৯টার দিকে আসেন মাজেদা। বাড়ি আসার পর তার স্বামী পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে।
ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, নিহতের মা রহিমা বেগম মেয়েকে না পেয়ে মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আবুল। এদিকে পুলিশ ও শিবালয় ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের স্পেশাল ডুবুরি দল নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে সারা দিন অভিযান চালিয়েছে। বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃত আবুলকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান।
(আহৃত)