দেশে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের মূল্যস্ফীতিতে। মে মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত ৮ বছরের মধ্যে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে। গত এপ্রিল মাসে এ হার ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। মে মাসে ব্যাপকভাবে বেড়েছে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি। তবে সামান্য কমেছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। রোবাবার এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ব্যাপক বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। যেটি এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মে মাসে শহরের তুলনায় গ্রামে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার বেশি। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যেটি এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মে মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ব্যাপক বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
(আহৃত)