জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে নোয়াখালীর সদর উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রবকে (৪৭) প্রকাশ্যে হাতুড়িপেটা করেছে চাঁদাবাজি ও চুরি মামলায় হাজত খাটা আসামিরা। পরে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নিরাপত্তার অভাবে নিজের বাসায় অবস্থান করছেন।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার রশিদ কলোনির রিফাত ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
চাঁদাবাজি ও চুরির মামলা করার বিরোধের জের ধরে এ হামলা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রব।
তিনি জানান, চলতি বছরের শুরুতে নোয়াখালী পৌরসভার রশিদ কলোনি এলাকায় তিনি একটি বাসা নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয় চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। চাঁদা না পেয়ে তারা তার বেশ কিছু নির্মাণ সামগ্রী চুরি করে। এ ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় কয়েকজনকে আসামি করে আমি একটি চাঁদাবাজি ও চুরির মামলা করলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে।
তিনি অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে ওই ব্যক্তি জামিনে ছাড়া পেয়ে নানাভাবে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে ছেলেকে সঙ্গে করে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন যুবক আমার পথরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে আমার দুই হাত গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। হাতুড়ি দিয়ে পেটানোয় দুই হাতে কালশিরা ও রক্তাক্ত হয়ে গেছে। একপর্যায়ে মুসল্লিরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুধারাম থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযুক্ত আসামিরা ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দিয়েছে।
পরিদর্শক তদন্ত আরও জানান, শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(আহৃত)