কলকাতার মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুরহস্য এখনো উন্মোচন হয়নি। শুধুই হতাশা নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন? কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বিদিশা? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো সবার অজানা।
ঠিক সেই সময়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ বিদিশার সুইসাইড নোটের কথা প্রকাশ করেছে।
তিনি লিখেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কাজ কমে গিয়েছিল বলে চলে গেলাম। আমার প্রফেশনাল লাইফে কাজ কমে গিয়েছিল। তাই আমার ইএমআই, ব্যক্তিগত খরচ, বাড়িভাড়া চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল। আমি নিজের বাড়িতেও ভালো ছিলাম না। আমার পাশের বাড়ির ফ্যামিলি খুব ডিস্টার্ব করতো। প্রতিমাসে আমি তিন থেকে চারটে শুট করতাম। তা দিয়ে আমার কিছু হতো না। কাউকে না জানিয়ে আমি ইভেন্ট করতাম। তা থেকেও আমার কিছু হতো না। আমি আত্মহত্যা করছি আর আমি সুইসাইড করেই হ্যাপি…।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো আলাদা পাতায় নয়, একটি খাতার শেষ পাতায় সুইসাইড নোট লেখেন বিদিশা। তার হাতের লেখাও ছিল অবিন্যস্ত। সেই সুইসাইড নোট সামনে আসতেই শুরু নতুন জল্পনা। মাত্র ২১ বছর বয়সী মডেল বিদিশার মৃত্যুরহস্য উন্মোচনে তদন্ত করছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় নাগেরবাজার থানায় ফোন করেন বিদিশার এক বান্ধবী। এর পর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে বিদিশার খাট থেকেই পাওয়া গিয়েছিল সুইসাইড নোটটি।
(আহৃত)