ইতোমধ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ একজনকে আটক করা হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সালথা উপজেলার যদুনন্দি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের সাথে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় পুলিশ চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়াকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। গত ২৮ এপ্রিল আটককৃত দুইজনই জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।
তাদের ফিরে আসার পর ফের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ৫ মে ফের দুই গ্রুপের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামরা চালায়। এসময় ৫০টি বাড়িঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। লুটপাট করা হয় বাড়ির মালামাল।
এ ঘটনায় আহত হয় কমপক্ষে ৪০ জন। এ সংঘর্ষের সময় আলমগীর মিয়ার সমর্থক সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মারা যায়। গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যানের সমর্থক আসাদ শেখ গুরুতর আহত হয়। দীর্ঘ ২১ দিন পর গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আসাদ শেখ নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেই জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।