শিরোনামঃ
অপহরণ অভিযোগের সেই মেয়েটি অবশেষে ফরিদপুরে সেফ হোম থেকে মুক্ত শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে ‌রোটারি ক্লাব অফ ফরিদপুরের উদ্যোগে অসহায় দুস্থ্য মানুষের মধ্যে শাড়ি বিতরণ ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে ছাত্র জনতার আমরণ অনশন কর্মসূচি  বাড়িতেই তৈরি হতো নকল বিদেশি মদ, ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৩ বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর খেলা ঘরের মানববন্ধন  ডিমের দামে কারসাজি করায় একতা ট্রেডার্সকে জরিমানা ফরিদপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সদের কর্মবিরতি পালন হঠাৎ করেই কুমার নদে ধ্বস।। ভাঙ্গন আতংকে এলাকাবসী ফরিদপুরে শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে পালিত হল নার্সিং ও মিড ওয়ারি সংস্কার পরিষদের উদ্যোগে ‌ কর্মবিরতি কুমার নদের ভাঙ্গনে ফরিদপুর লক্ষীপুরে ভেঙ্গে পরছে বাড়ী ঘর, হুমকির মুখে লক্ষাধিক লোকের চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান দুর্গোৎসবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে – ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক ইলিশ বাজারে ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান র‌্যাব-১০ এর হাতে গ্রেফতার রাজবাড়ীর সাবেক পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর শেখ তিতু  ফরিদপুরে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে ফরিদপুর জামায়াত ইসলামী দলের মতবিনিময় ফরিদপুর কুমার নদ থেকে উদ্ধার হল শিশুর মরদেহ ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চান ৮৪ শতাংশ (গবেষণা জরিপের ফল প্রকাশ) ফরিদপুরে বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন

কয়েকটি ধারায় ৭৬ সালের চেয়েও সাজা কমছে

বাংলার আকাশ ডট কম email:banglar.akash.sif@gmail.com
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

Spread the love

ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মালিক, মাস্টার (নাবিক) ও ড্রাইভারদের (ইঞ্জিন পরিচালনাকারী) দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।

চলতি বছরের মার্চে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ রূপসী-৯ এর ধাক্কায় ডুবে যায় এমএল আফসার উদ্দিন-২। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন মারা যান। এ ঘটনায় দুই নৌযানের নাবিকদের গাফিলতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

শুধু এ দুটি লঞ্চ নয়, আরও অনেক নৌযান দুর্ঘটনায় মালিক, নাবিক ও ড্রাইভাররা দায়ী প্রমাণিত হয়েছেন। অথচ নতুন প্রণীত হতে যাওয়া ‘অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ আইন-২০২১’ এর খসড়ায় দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট এমন কয়েকটি ধারায় তাদের সাজা শিথিল করা হয়েছে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৯৭৬ সালে প্রণীত বিদ্যমান ‘অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ’ এর চেয়েও সাজা কমানো হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয়েছে কারাদণ্ডের বিধান। সম্প্রতি এ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তবে কয়েকটি ধারায় জরিমানা ও কারাদণ্ডের সাজা বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়েও আপত্তি রয়েছে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের পাঁচ মাসে নৌদুর্ঘটনা ঘটে ৮টি। এতে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। আর ২০২১ সালে সারা দেশে ৩৯টি নৌদুর্ঘটনায় ১৪৬ জন নিহত ও ১৭৯ জন আহত হন।

এর আগের বছর ২০২০ সালে ৩২টি নৌদুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৮১ জন। ২০১৯ সালে ২৬টি ও ২০১৮ সালে ২১টি নৌদুর্ঘটনা ঘটে। নৌদুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধির এমন প্রবণতার মধ্যেই আজ থেকে শুরু হচ্ছে নৌনিরাপত্তা সপ্তাহ।

এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ-নিরাপত্তায় রাখবে অবদান।’ এ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাণীতে তিনি বলেন, ‘নৌ দুর্ঘটনা হ্রাসে নদীবন্দরসমূহে নিরাপত্তা জোরদার, ত্রুটিপূর্ণ নৌযান শনাক্তকরণ, নাবিকদের প্রশিক্ষণ, নৌ নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬ আইনে রূপান্তর দিতে প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছে নৌপরিবহণ অধিদপ্তর ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। কয়েক দফায় এ আইনের খসড়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

প্রতিবারই মালিক ও চালকদের অপরাধের সাজায় কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানো হয়েছে। বর্তমানে নৌদুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ধারায় সাজা ৫ বছর রাখা হয়েছে। বাকিগুলোতে কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে অর্থদণ্ড বাড়ানো হয়েছে।

পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, আইনে কঠোর সাজার বিধান থাকলেই বিচারে তা প্রয়োগ হবে এমনটি নয়। বিচারক অপরাধের ধরন অনুযায়ী সাজা দিয়ে থাকেন। কিন্তু সাজা শিথিল করা হলে মালিক ও শ্রমিকদের আইন মানার প্রবণতা কম থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, দেশে প্রচলিত আরও অনেক আইন আছে। সেইসব আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ আইন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেরও নির্দেশনা রয়েছে। তবে আমরা দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোতে সাজার বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করিনি। তিনি বলেন, সাজার পরিমাণ বাড়ালেই হবে না, তা বাস্তবভিত্তিক ও প্রায়োগিক হতে হবে। এরপরও কোনো ধারায় যদিও সাজা একেবারেই কমে যায় সেগুলো বিবেচনা করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো খসড়া আইন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কয়েকটি ধারায় ১৯৭৬ সালের অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ এর তুলনায় খসড়া আইনে সাজার পরিমাণ কমানো হয়েছে।

খসড়া আইনের ৩৮ ধারায় নৌযানে কতজন কোনো গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ার, মাস্টার, ড্রাইভার ও নাবিক নিয়োগ দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপ্রশিক্ষিত মাস্টার ও ড্রাইভার নিয়োগ না দেওয়ার বিধানও রয়েছে এ ধারায়।

দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যতম এ ধারা লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রস্তাবিত আইনে মাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অথচ বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭২ এর ৬৬ ধারায় এ অপরাধেই ৩ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে কারাদণ্ডের বিধান উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার অনেকগুলোতে পর্যাপ্ত ও প্রশিক্ষিত মাস্টার ও ড্রাইভার না থাকার প্রমাণ মিলেছে।

নৌপরিবহণ অধিপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০৫টি নিবন্ধিত নৌযান রয়েছে। সারা দেশে সনদধারী মাস্টার (নাবিক) রয়েছেন মাত্র ১২ হাজার ৫৬ জন।

আর ড্রাইভার রয়েছেন ১১ হাজার ৩০৭ জন। আইন অনুযায়ী, নৌযানের ইঞ্জিনের সক্ষমতা অনুযায়ী নৌযানে সর্বোচ্চ তিনজন করে মাস্টার ও দুজন করে ড্রাইভার থাকার নিয়ম রয়েছে।

বর্তমানে চাহিদার তুলনায় মাস্টার ও ড্রাইভারের চরম সংকট রয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক নৌযান সনদবিহীন মাস্টার ও ড্রাইভার দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলেও নৌদুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ আইনে এ সংক্রান্ত ধারায় কারাদণ্ডের কোনো বিধানই রাখা হয়নি।

এছাড়া প্রস্তাবিত আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘনে কোনো সাজাই রাখা হয়নি। ৩ নম্বর ধারায় অভ্যন্তরীণ নৌপথে ১৬ বিএইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের নৌযানের নিবন্ধন সনদ ও জরিপ সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক রয়েছে।

৪ নম্বর ধারায় জরিপ সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। বিদ্যমান অধ্যাদেশের ৩৩-এ ধারায় এসব বিষয় উল্লেখ রয়েছে। ওই ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মালিক ও নাবিকের দুই বছর জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

এখানেও মালিক ও শ্রমিকদের রেহাই দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে বিপুল সংখ্যক বালুবাহী নৌযান বাল্কহেড চলাচল করছে। এসব বাল্কহেডের বেশিরভাগই নিবন্ধনহীন। নেই প্রশিক্ষিত চালকও। এসব বাল্কহেডের কারণে প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ অপরাধে কোনো সাজা নেই।

খসড়া আইনের ৪৬ ধারায় নাবিকের অবহেলা ও অসদাচরণে নৌদুর্ঘটনা মানুষের মৃত্যু হলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যমান ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশেও ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

তবে জরিমানা ছিল এক লাখ টাকা। খসড়া আইনে কারাদণ্ডের মেয়াদ আগের মতো রাখা হয়েছে। যদিও বাড়ানো হয়েছে জরিমানার পরিমাণ। বিদ্যমান আইনে এ ধরনের অপরাধে মালিক ও চালক নির্দিষ্ট করে তাদের সাজার কথা বলা হয়েছে।

খসড়া আইনে ‘মালিক’ ও ‘চালক’ শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে নৌযানে নিযুক্ত বা কর্তব্যরত বা নৌযান সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির অপরাধ পেলে তাকে দায়ী করা হয়েছে।

খসড়া আইনে জাহাজ নির্মাণ ও তদারিকর সঙ্গে জড়িতদের সাজার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া নাবিকদের জাল সনদ ব্যবহারের অপরাধেও সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে এসব অপরাধে সরাসরি সাজার কথা উল্লেখ নেই।
(আহৃত)

 


Spread the love


এই বিভাগের আরো খবর

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১