ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ম্যাচের আগের দিন সাকিব আল হাসানের বোলিং দেখারও প্রয়োজন মনে করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। রোববার প্রথম টেস্টের প্রথমদিনে সাকিব বোলিং করলেন ১৯ ওভার। তার মধ্যে প্রথম স্পেলেই টানা ১০ ওভার। এক উইকেট নিয়ে রান দিয়েছেন মাত্র ২৭।
আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম হাত ঘুরিয়েছেন ৩১ ওভার। পাঁচ বোলার নিয়ে একাদশ সাজানো বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি স্পিনারই করেছেন ৫০ ওভার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট এবারও ফ্ল্যাট। প্রথমদিনে দুই অভিজ্ঞ স্পিনার দেখালেন এমন উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে।
শ্রীলংকা চার উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ২৫৮ রান। বড় সংগ্রহের আভাস দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ মনে করছেন, ম্যাচে দুদলের অবস্থান সমান। সফরকারীদের ৪০০ রানের মধ্যে আটকে রাখাই স্বাগতিকদের লক্ষ্য। এই মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছিলেন পেসার ইবাদত হোসেন। তাকে একাদশে রাখা হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পারফরম্যান্স দেখেছে।
ইনজুরি থেকে ফেরা শরীফুল ইসলামও খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। উইকেটশূন্য দুই পেসার। প্রথম সেশনে দুই উইকেট নিয়ে অফ-স্পিনার নাঈম হাসান দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজের ইনজুরির কারণে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন। তবে উইকেট বুঝে বোলিং করতে না পারায় শেষ দিকে বেশি রানও দিয়েছেন তিনি।
প্রথমদিনের খেলা শেষে কাল হেরাথ বলেন, ‘বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে তাতে আমি খুবই খুশি। সাকিব ও তাইজুল ভালো বোলিং করেছে। নাঈম প্রথম সেশনে দুটি উইকেট নিয়েছে। সে প্রায় দেড় বছর খুব বেশি ক্রিকেট খেলেনি। প্রথম ওভারে যখন উইকেট তুলে নিয়েছে তখন হয়তো আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘টেস্টে আমি সব সময়ই পাঁচ বোলারে বিশ্বাসী। তাতে ২০ উইকেট নেওয়ার কাজটা সহজ হয়ে যায়। এতে বোলাররা বিশ্রাম পায়।’
খালি চোখে শ্রীলংকাকে অনেকেই এগিয়ে রাখছেন। তবে চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। সেই হিসাবে প্রথমদিনের পারফরম্যান্স সমানে সমান দেখছেন হেরাথ। তিনি বলেন, ‘এটা প্রায় সমান পারফরম্যান্সের একটি দিন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দারুণ সেঞ্চুরি করেছে। তারা ভালো ব্যাটিং করেছে, আমরাও ভালো বোলিং করেছি।’ তিনি বলেন, ‘তাদের স্কোর ২৫৮/৪। আগামীকাল তাদের যদি দ্রুত দুই উইকটে তুলে নিতে পারি তাহলে তাদের ৪০০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলা যাবে।’ কোভিড থেকে ফিরেই সাকিব দারুণ বোলিং করলেন। ম্যাচের আগে অনুশীলনের সুযোগ না পেলেও দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। বাকিরা সেভাবে উইকেট বুঝে বোলিং করতে পারেননি। হেরাথ বলেন, ‘তার মতো প্রতিভা খুব বেশি ক্রিকেটারের থাকে না। অনুশীলন ছাড়াই প্রথম বল থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল সে।’
স্কোর কার্ড
শ্রীলংকা প্রথম ইনিংস
রান বল ৪ ৬
ওশাদা ক লিটন ব নাঈম ৩৬ ৭৬ ৩ ১
করুনারত্নে এলবি ব নাঈম ৯ ১৭ ০ ০
মেন্ডিস ক নাঈম ব তাইজুল ৫৪ ১৩১ ৩ ০
ম্যাথিউস ব্যাটিং ১১৪ ২১৩ ১৪ ১
ধনঞ্জয়া ক মাহমুদুল ব সাকিব ৬ ২৭ ০ ০
চান্দিমাল ব্যাটিং ৩৪ ৭৭ ০ ২
অতিরিক্ত ৫
মোট (৪ উইকেটে, ৯০ ওভারে) ২৫৮
উইকেট পতন : ২৩/১, ৬৬/২, ১৫৮/৩, ১৮৩/৪।
বোলিং : শরীফুল ১৩-১-৩৮-০, খালেদ ১১-১-৪৫-০, নাঈম ১৬-২-৭১-২, তাইজুল ৩১-৮-৭৩-১, সাকিব ১৯-৭-২৭-১।
(আহৃত)