১২ মে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সামনে রেখে ফরিদপুরে শোভাযাত্রা করেছেন সভাপতি পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের নেতা বিপুল ঘোষ। রোববার বিকেলে জেলা শহরে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোভাযাত্রা করেন তিনি।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শহরের গোয়ালচামট মহল্লা থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, হাজরাতলার মোড়, গোরস্থানের মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড় হয়ে মুজিব সড়ক ধরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিপুল ঘোষ একটি ছাদ খোলা মাইক্রোবাসে (নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-২১৯২) বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফুজ্জামানকে পাশে রেখে আশপাশের জনতাকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান।
শোভাযাত্রা শেষে প্রেসক্লাবে বিপুল ঘোষ বলেন, ‘যা বলার ১২ তারিখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই বলব।’
প্রবীণ নেতা বিপুল ঘোষ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
বিপুল ঘোষ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে মনে করবেন, তাঁকে জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি করবেন। তিনি দুটি নাম একটি খামে ভরে আঠা দিয়ে মুখ আটকে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে দেবেন, সাধারণ সম্পাদক ওই খাম খুলে নাম দুটি ঘোষণা দেবেন। এর আগে তিনিও জানতে পারবেন না কে কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের হচ্ছেন সভাপতি ও সেক্রেটারি।
কারও নাম উল্লেখ না করে বিপুল ঘোষ বলেন, ‘তিনি যাতে মেয়র হতে পারেন, তাঁর জন্য আমার কঠিন সুপারিশ ছিল। এখন তিনি সেক্রেটারি হতে চান। আপনি সেক্রেটারি হতে চাইতে পারেন, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমার লোকদের ভয় দেখান কেন? সাধারণ লোক খেপে গেলে পালানোর পথ পাবেন না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মিয়া প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সম্মেলন সামনে রেখে বিপুল ঘোষ জমি বিক্রি করেছেন সম্মেলন সফল করার জন্য। বিপুল ঘোষকে যদি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা না হয়, তাহলেও আমরা নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেব। তবে সে ক্ষেত্রে জেলার আওয়ামী রাজনীতি নিম্নগামী হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সেলিম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নালিশ করে বলা হয়েছে, বিপুল ঘোষ অক্ষম, ২০ বছর ধরে বিপুল ঘোষ রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন। ওই কথার জবাব দিতেই আজকের এই আয়োজন। বিপুল ঘোষের ব্যানার, পোস্টার বা গেট লাগে না, বিপুল ঘোষ ফরিদপুরের রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি।’
(আহৃত)