পুরনো সেই ফর্মেই যেন ফিরে গেল বার্সেলোনা। মাঝে জাভি হার্নান্দেজের জাদুতে কয়েকটি জয় পেয়েছিল বার্সা। দেখছিল ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। কিন্তু আবার ভেঙে পড়েছে দলটি। ক্যাম্প ন্যুতে টানা তৃতীয় ম্যাচ হেরেছে তারা। তাতে লিগ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।
রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে ১–০ গোলে রায়ো ভায়োকানোর কাছে হেরেছে বার্সেলোনা। এ হারের পর শিরোপা জিততে আর এক পয়েন্ট দরকার রিয়াল মাদ্রিদের। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৩–২ ও লিগে কাদিসের বিপক্ষে ১–০ ব্যবধানে হারার পর ঘরের মাঠে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল দলটি। এর আগে ১৯৯৮ সালে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল তারা।
ম্যাচের মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ভায়োকানো। ন্যু ক্যাম্পকে স্তব্ধ করে দিয়ে গোল করেন আলভারো গার্সিয়া। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি–বক্সের সামনে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। এর পর ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
গোল খাওয়ার পর প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার চেষ্টা করে বার্সা। গোল করতে আক্রমণ করলেও শটগুলো থাকছিল না লক্ষ্যে। খেলার ২৭তম মিনিটে ডি–বক্সে গাভি পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। যদিও পরে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে হলুদকার্ড দেখেন গাভি।
বিরতির ঠিক আগে এ গাভির শটই পোস্টে লাগে। পরে ফিরতি শটে গোল করেন ফেরান তোরেস। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডে। ৬৯তম মিনিটে ডি–বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে হাতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। তবে এবারও বার্সার পক্ষে বাঁশি বাজাননি রেফারি।
নির্ধারিত সময়ের ১ মিনিট বাকি থাকতে ফের পেনাল্টির আবেদন করে তারা। গাভিকে ডি–বক্সে ভায়োকানোর ডিফেন্ডার কাতেনা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে আবারও পেনাল্টির আবেদন করে স্বাগতিকরা। এবারও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। ১১ মিনিট যোগ করা সময়েও বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ছিল বার্সার। কিন্তু গোলের দেখা তারা পায়নি। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার।
(আহৃত)