যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর আটশ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন। তার ঘোষণা অনুযায়ী, এ সহযোগিতার আওতায় ইউক্রেন ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও কৌশলগত কাজে ব্যবহার করা যায় – এমন ড্রোন সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ‘মুক্তির জন্য লড়াইরত’ সেনাদের কাছে পাঠাবে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে রাশিয়া সাড়া দেয়নি। তবে এ বিষয়ে মস্কোর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মারিউপোলে ইউক্রেন সেনাদের সর্বশেষ দলটি যেখানে অবস্থান নিয়েছে, সেখানে হামলা না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিবর্তে তিনি জায়গাটি এমনভাবে ঘিরে রাখতে বলেছেন যাতে ‘একটি মশাও উড়ে যেতে না পারে’।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ইউক্রেনের স্পেশাল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এসবিইউ) সব সদস্যদের পরিচিতিমূলক তথ্য পেয়েছে রাশিয়া। খেরসন অঞ্চলে এসবিইউ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর এসব তথ্য সম্বলিত ডকুমেন্ট পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছে রাশিয়ার সৈন্যরা। এসব তথ্যের মধ্যে এসবিইউ সদস্যদের নাম ও ছবি রয়েছে, যা ইতোমধ্যে রাশিয়ার সরকারি মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
রাশিয়ানরা চলে গেছে কিন্তু এরপরেও কিয়েভের শহরতলীর এলাকাগুলো বিপজ্জনক রয়ে গেছে। কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাইন আর গোলা অপসারণে, যা রাশিয়ান সৈন্যরা ফেলে গেছে। আর এসব অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সংস্পর্শ এসে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, গত চব্বিশে এপ্রিল ইস্টার সানডে উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হলেও রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এক ভিডিও বার্তায় মিস্টার জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলেও তিনি এখন শান্তির আশায় আছেন। তবে ক্রেমলিন থেকে জেলেনস্কির এ দাবির বিষয়ে কোন বক্তব্য এখনো আসেনি।
দোনেৎস্কের ৪২ গ্রাম রাশিয়ার হাতে: দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলের ৪২টি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন। টেলিভিশনে এ তথ্য দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্টের চীফ অফ স্টাফ। তবে তিনি আশা করেছেন যে ইউক্রেনের সেনারা শিগগিরই তা পুনর্দখল করতে সক্ষম হবে। ওদিকে রাশিয়া ডনবাসের দিকে লড়াই জোরদার করেছে এবং তাদের মূল লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো।
(আহৃত)