করোনা সংকটের কারণে দুই বছর পর নারায়ণগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে কপিল দাসের দোতারার সুরে বাংলা নববর্ষ বরণের প্রভাতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের জিমখানা শেখ রাসেল পার্কে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করেন।
বর্ষবরণের প্রভাতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। ওই অনুষ্ঠানে তবলার লহরা, বাঁশির সুর, একক আবৃত্তি, একক সংগীত ও দলীয়ভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সাবেক সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা, মনি সুপান্থ প্রমুখ।
শাহীন মাহমুদ বলেন, এটি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালির ঐতিহ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। যদিও বিগত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ঘরে ঘরে আনন্দ ও মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসুক বাংলা নববর্ষের নতুন সূর্য।
সকাল সাড়ে ১০টায় ‘নির্মল করো, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ স্লোগানে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক–শিক্ষার্থী–সুধী সমাজের লোকজন। নগরের দেওভোগের জিমখানায় অবস্থিত শেখ রাসেল পার্কে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের নবীন–প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীদের নাচ–গানে মুখর হয়ে ওঠে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি।
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেখ রাসেল নগর পার্কের ভেতরে ঘুরে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সামসুল আলম, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন জেলার বিভিন্ন স্থানে নববর্ষকে বরণ করতে নানা আয়োজন করে।