ডেস্ক রিপোর্টার
টিপকাণ্ডের পর মুন্সীগঞ্জে বিজ্ঞান শিক্ষকের ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কারাবাস নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। বিষয় দুটোর রেশ না কাটতেই নওগাঁর মহাদেবপুরে ঘটল হিজাবকে ইস্যু করে আরেকটি ঘটনা।
এ তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে তর্ক-বিতর্ক ও বিভক্তি চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী কষ্ট দিচ্ছে। তিনি এতে ধর্মীয় বিদ্বেষ দেখতে পাচ্ছেন।
তিনি চান, বাংলাদেশের মানুষগুলো একে-অপরকে ভালোবেসে শান্তিতে থাকবে। ধর্ম যেন ব্যক্তিগত বিষয় হয়েই থাকে।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
এ চিত্রনায়ক লিখেছেন, ‘ধর্মীয় কোনো ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে নাক গলানো আমার কখনো ভালো লাগে না। তবে অশান্ত এই মনটাকে শান্ত করতে কিছু কথা না বলে পারছি না। ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার। জন্মসূত্রে পাওয়া নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস যেমন ব্যক্তিগত ব্যাপার, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ধর্মও ঠিক তেমনি তার তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে বাপ্পীর বক্তব্য, ‘বর্তমান সময়ে চলমান বেশ কয়েকটি ইস্যু বারবার আমার মনকে অশান্ত করে তুলছে। টিপকাণ্ড, বিজ্ঞান স্যারের কারাবাস, এ সবের শেষ কোথায়? কিংবা শুরুটাই বা কিভাবে? অন্যের ধর্মের প্রতি এতোটা ব্যক্তিগত আক্রোশ নিয়ে এরা বসবাস করছে কী করে? এমনও তো নয় যে এসব কোনো পড়ালেখা না জানা, শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকা কোনো কুসংস্কারাছন্ন অন্ধকার জগতের মানুষেরা করছে। আধুনিক এই যুগে, যখন সবাই নিজ কাজ করে সময় পায় না, তখন তারা অন্যের ধর্ম নিয়ে ভাবার সময়ই বা পায় কখন?’
বাপ্পী বিশ্বাস করেন, প্রতিটি ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে।
তিনি লেখেন, ‘ইসলাম মানেই শান্তি, সনাতন ধর্ম কখনো ঘৃণা শেখায়নি, বৌদ্ধ ধর্মেতো জীব হত্যাই মহাপাপ, আর যিশু নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন শান্তি বাস্তবায়নে। তাহলে আমরা কেন শান্ত থাকতে পারছি না? আমরা কেন নিজের ধর্মের বার্তা শুনতে পাচ্ছি না? আমরা কেনো এতো আক্রোশ নিয়ে বসে আছি?’
অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বাপ্পী চৌধুরী লেখেন, ‘সন্তানকে নিজেদের ধর্ম শেখানোর পাশাপাশি, অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে শেখান। ছোটবেলা থেকেই যদি ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেন, তবে ভবিষ্যৎ হবে সুন্দর। বাংলাদেশকে ধর্মের মাপকাঠিতে ভিন্ন হতে দেখতে চাই না। বাংলাদেশতো ভালোবাসার দেশ। মানুষগুলোর মন হোক ভালোবাসায়