ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মোড়হাট-আগুলদিয়া-জয়ঝাপ এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আজ শুক্রবার ভোরে ও সকালে আবারও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ শর্ট গানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত জায়ঝাপ গ্রামের সলিম মুন্সিকে (৭০) ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে স্থানীয় দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব ঠাকুর ও আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হওয়া খোরশেদ খাঁর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় চার–পাঁচটি বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, রাত ২টার দিকে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আজ পুনরায় দুই পক্ষ আবার দেশীয় অস্ত্র ও ইট নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলি শর্টগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, আপাতত পরিবেশ শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।