বাংলার আকাশ ডেস্ক
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটে প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে ৩২ হাজার ৮১১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ চালুর পর প্রথম ধাপেই এই বিপুল সংখ্যক সাড়া পাওয়া গেল।
ইসি-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের মোট ৩২,৮১১ জন প্রবাসী ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
নিবন্ধনকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ২৮ হাজার ৫১৬ জন পুরুষ ভোটার এবং ৪ হাজার ২৯৫ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের শীর্ষ দেশগুলো হলো:
| দেশ | নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা |
| দক্ষিণ কোরিয়া | ৮,৫৫৮ জন |
| জাপান | ৫,৭৯২ জন |
| যুক্তরাষ্ট্র | ৪,৪৮৭ জন |
| দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩,৬৫৬ জন |
| অস্ট্রেলিয়া | ২,৯৫৮ জন |
| কানাডা | ২,৭৫৮ জন |
| চীন | ১,৫৫৫ জন |
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এই উদ্যোগকে দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে, যা প্রায় ১০ লক্ষ ভোটারকে সুবিধা দেবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেন।
চলমান ও ভবিষ্যৎ নিবন্ধনের সময়সূচি:
প্রথম ধাপ (শেষ হয়েছে): ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত (পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা)।
দ্বিতীয় ধাপ (চলমান): ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত (উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়া)।
ইউরোপ: ২১ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর।
সৌদি আরব: ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর।
দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: ৯ থেকে ১৩ ডিসেম্বর।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ: ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য, প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই সেই দেশের মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করতে হবে, যেখান থেকে ভোট প্রদান করা হবে।
ভোটারকে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপে বাংলা বা ইংরেজি ভাষা নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নির্দেশাবলি দেখা যাবে। বিদেশে ব্যালটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদান করা অপরিহার্য।