বাংলার আকাশ ডেস্ক
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর ৫৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ফরিদপুরে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আইডিইবি ফরিদপুর জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন মোল্লা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ মোঃ আক্কাস আলী শেখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন:
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন শিক্ষক মোফাজ্জেল হোসেন রেজা।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও উপদেষ্টা ডিইএবি, ইঞ্জিনিয়ার আদনান হোসেন অনু।
সভাপতি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদল, নাজমুস সাকিব।
সহ-সভাপতি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদল, বুলবুল আহমেদ নাঈম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইডিইবি’র ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান সবুজ। এ সময় ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং আইডিইবি’র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা আইডিইবি’র বিগত দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবদানকে বিশেষভাবে স্মরণ করেন। তাদের বক্তব্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে:
দেশের উন্নয়নে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান: বক্তারা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দেশের উন্নয়নে বিগত দিনে অনেক বড় অবদান রেখেছেন এবং তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দেশের উন্নয়নে তাঁরা প্রতিনিয়ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।
কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব: তাঁরা কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই বলে জোর দেন এবং এ কাজে চমৎকার ভবিষ্যৎ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
সচেতনতা ও ঐক্য: বক্তারা উল্লেখ করেন যে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, তার বিপক্ষেও একটি শক্তি কাজ করছে। তাই সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে এবং দেশের উন্নয়নে ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উন্নয়নে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানান।
নারী ইঞ্জিনিয়ারদের অংশগ্রহণ: বক্তারা বর্তমান ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় মেয়েদের অংশগ্রহণকে একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে স্বাগত জানান এবং এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শিক্ষার মান বজায় রাখা: পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার মান ধরে রাখার বিষয়েও বক্তারা জোর দেন।
ভবিষ্যৎ কমিটি গঠন: বক্তারা জানান, আগামী দিনে যারা আইডিইবিকে ভালোবাসেন এবং সংগঠনটিকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন, তাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।
আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে সূচনা স্থানে এসে শেষ হয়।