শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রদলের এক নেতা ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা থানায় মামলা করেছেন। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও ছাত্রনেতা ফজলুল হককে (৩২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে নকলা উপজেলা কমপ্লেক্সের কৃষি অফিসে ঢোকেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ছাত্রনেতা ফজলুল হকসহ কয়েকজন। তাঁরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিনের কাছে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির তালিকা নিয়ে জানতে চান এবং কোন ‘নেতাকে’ কত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কেও প্রশ্ন করেন।
তখন শাহরিয়ার মোরসালিন তাঁদের জানান, প্রণোদনা কর্মসূচিতে কৃষকদের নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়; রাজনৈতিক নেতাদের নামে কোনো বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম নেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাহাত ও তাঁর সহযোগীরা গালাগাল করতে থাকেন এবং তাঁকে নকলা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাঁরা কর্মকর্তা মোরসালিনকে মারধর ও ধাক্কাধাক্কি করেন। চিৎকার শুনে কার্যালয়ের কর্মচারীরা কক্ষে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করেন। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে সহকর্মীরা আহত কৃষি কর্মকর্তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল সরকার বলেন, ‘এই ঘটনার ভিডিও দেখেছি। এটা নিন্দনীয় কাজ। ছাত্রনেতা হয়ে একজন অফিসারকে মারধর করা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। তাঁর এই দায় দল নেবে না।’
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর সন্ধ্যায় দুজনকে আসামি করে সরকারি কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।