সদ্য ঘোষিত জাতীয় বাজেট নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও মতামত ভাল করে দেখার সুযোগ হয়নি। তবে একটি বিষয় চোখে পড়ায় তা নিয়ে ভাবছিলাম। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম এত বাড়লেও
২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ খাতে নতুন অর্থবছরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫
আগামী বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে নানা উদ্যোগ থাকছে। এজন্য শিল্পের করপোরেট কর হ্রাস; কাঁচামাল সরবরাহের উৎসে কর হ্রাস; বিদেশে পাঠানো রয়্যালটি, কারিগরি সহায়তা ফির উৎসে কর হ্রাস, স্থানীয় শিল্পের
অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে টানা অভিযানের পরও চালের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। বোরোর ভরা মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা কেজি। অথচ এ সময় দাম কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে গত
দেশের অর্থনীতিতে সংকট বিরাজমান। এই সংকট আরও বিকশিত হচ্ছে। কারণ সরকারি আয়ব্যয় পরিস্থিতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং চলতি খাতে ঘাটতি বাড়ছে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আয়ে অনিশ্চয়তার কারণে বৈদেশিক
বৈশ্বিক সংকট বাংলাদেশসহ বিশ্ব অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থাগুলো বলছে, শুধু যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রবৃদ্ধি অন্তত এক শতাংশ কমবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। বিশ্ব অর্থনীতির
করোনার নেতিবাচক প্রভাবে আন্তর্জাতিক ব্যবসাবাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বৈদেশিক ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসির বকেয়া দেনা বেড়েই চলেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এ খাতে আরও বেশি নেতিবাচক
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বাড়ছে, সরবরাহ কমছে। এতে ডলার সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এর
মূল্যস্ফীতি বাড়লেও আগামী বাজেটে (২০২২-২৩) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য সুখবর নেই। আগের নিয়মেই বছরে ৩ লাখ টাকা আয় হলে আয়কর দিতে হবে। এক্ষেত্রে মধ্যবিত্তদের পরিবর্তে বাজেটে বিত্তশালীদের স্বস্তি দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকছে।
প্রতিবারের ন্যায় আগামী অর্থবছরেও ভ্যাটই (মূল্য সংযোজন কর বা মূসক) থাকছে রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত। তবে কয়েকটি খাতে ভ্যাট হার কমানো হচ্ছে, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে জীবনযাত্রাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।