ডলারের বাজারে অস্থিরতা ও জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য অর্থনীতিকে চাপের মুখে ফেলছে। চাপে আছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যবসাবাণিজ্য
গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৯ কোটি ডলার। ওই সময়ে টাকার হিসাবে ঋণ ছিল ৭ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বরে ডলারের বিপরীতে
করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ওলটপালট হয়ে যাওয়া বিশ্ব পরিস্থিতিতে কম সুদের বিদেশি ঋণ প্রাপ্তিতে এই রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডি জানিয়েছে, ৩০ জুন শেষ হওয়া
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় মৌলিক তিনটি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ডলার সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সুদহার বৃদ্ধি এবং সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির আওতায় ঋণপ্রবাহ কমানো। এছাড়া আরও কিছু সহযোগী
খেলাপি ঋণ নবায়নের নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি-এমন মন্তব্য করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। তাদের মতে, এতে
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে নানা রকম নিষেধাজ্ঞায় হাঁপিয়ে উঠেছে রাশিয়া। যদিও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তেল বিক্রি করে ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিচ্ছে মস্কো। নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া এবার
গত ২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বারের মতো মার্কিন মুদ্রা ডলারের নীচে নেমে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোর দাম। গত তিন ইউরো ও ডলার সমান ছিল। এর আগে ডলারের
আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে বহুমুখী পদক্ষেপের পাশাপাশি বড় অঙ্কের এলসিতে কঠোর তদারকি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে তারা ৫০ লাখ ডলার ও এর বেশি অঙ্কের যে কোনো এলসি ড্যাশ
মুদ্রাবাজারের অস্থিরতায় ডলারের তেজ বাড়ছে। কিন্তু বাজারের দখল হারাচ্ছে ডলার। টাকার বিপরীতে যেমন ডলারের দাম বাড়ছে, তেমনি ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতন হচ্ছে। তবে পাউন্ড এখনো তার আগের অবস্থান কিছুটা ধরে
বিশ্ববাজারে দাম কমায় বাণিজ্য সচিবের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ৬ টাকা কমানো হয়। ২৬ জুন এই দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স