ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০২৪: দেশের অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে এবং বিনিয়োগ ও ভোগ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নীতি সুদহার (Policy Rate) কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে ব্যাংকগুলো কম সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করতে পারবে, যার ফলস্বরূপ সাধারণ জনগণ এবং ব্যবসায়ীরাও কম সুদে ঋণ নিতে পারবেন।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, নীতি সুদহার কমানোর এই সিদ্ধান্ত বাজারে ঋণের প্রবাহ বাড়াবে। এতে একদিকে যেমন নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে, তেমনি ভোক্তাদের ব্যয় করার প্রবণতাও বাড়বে। ফলে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ডলার সংকটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সাহসী পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট মহল। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) সহ সকল খাতে ঋণের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।”
তবে, কিছু অর্থনীতিবিদ মূল্যস্ফীতির উপর এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সতর্ক করেছেন। তাদের মতে, বাজারে অর্থের যোগান বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতি আবারও মাথাচাড়া দিতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য জানিয়েছে, তারা মূল্যস্ফীতির গতিপ্রকৃতির উপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখবে এবং প্রয়োজনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
এই নতুন নীতি সুদহার আগামী ১৬ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। ব্যাংকগুলো এখন তাদের ঋণের সুদহার পুনর্বিবেচনা করবে এবং আশা করা যায় যে খুব দ্রুতই এর ইতিবাচক প্রভাব বাজারে দৃশ্যমান হবে।