বর্ষায় সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলো
বর্ষাকাল আনন্দ আর সতেজতার পাশাপাশি নিয়ে আসে নানা রোগ-ব্যাধির ঝুঁকি। এই সময়ে জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যা, এমনকি ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে কিছু বাড়তি সতর্কতা মেনে চলা খুব জরুরি।
বৃষ্টিতে ভিজলে সতর্কতা বৃষ্টিতে ভেজা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। যদি ভিজে যান, তবে দ্রুত বাড়ি ফিরে হালকা গরম জলে গোসল করুন। অফিস বা স্কুলে থাকলে, ভেজা পোশাকে না থেকে শুকনো পোশাক পরুন। মাথা ভিজলে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন, না হলে ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা বাড়ে।
বিশুদ্ধ জলের গুরুত্ব ও পেটের যত্ন
বর্ষায় পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই বাইরে খোলা বা অপরিষ্কার জল পান করা থেকে বিরত থাকুন। নিজের সাথে সবসময় বিশুদ্ধ খাবার জল রাখুন। দূষিত জল থেকে ডায়রিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ হতে পারে।
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচুন বৃষ্টির জল জমার কারণে মশার উপদ্রব বাড়ে, যা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া ছড়াতে সাহায্য করে। আপনার বাড়ির আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেবেন না। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনে মশা তাড়ানোর লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করুন।
পায়ের পরিচ্ছন্নতায় বাড়তি মনোযোগ
বর্ষাকালে পায়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই পা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। হালকা গরম জল ও সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার করুন এবং নখের কোণগুলোতে বিশেষ নজর দিন।
ভাইরাল ইনফেকশন থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন
এই সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও টাইফয়েডের মতো ভাইরাল অসুখের প্রকোপ বাড়ে। বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডা লাগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। ঠাণ্ডা বা ভেজা জামাকাপড়ে বেশিক্ষণ থাকবেন না। বর্ষায় ছোটখাটো অসতর্কতাই বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই এই সময় শরীর, খাওয়া-দাওয়া এবং চারপাশের পরিবেশ সব কিছুর দিকেই বাড়তি নজর রাখা দরকার।