ফরিদপুরের আলিপুর এলাকায় ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী ঘটনার শিকার হয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক এস এম জাহিদ হোসেন। গত কাল ৮ জুলাই দিবাগত মধ্য রাতে ২০২৫ ইং তারিখে কিছু দুস্কৃতিকারী তার নিজ বাসভবনে বাউন্ডারি দেওয়াল টোপকে কয়েকটি গ্রীলের তালা কেটে দ্বীতিয় তালায় প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে তাণ্ডব চালায়।
স্থানীয় সূত্র এবং এস এম জাহিদ হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী, রাত গভীর হলে একদল দুষ্কৃতিকারী তার বাসার চার-পাঁচটি গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা ধারণা করেছিল জাহিদ হোসেন ও তার ছেলে একটি নির্দিষ্ট রুমে ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে কাউকে না পেয়ে ঐ রুমসহ অন্যান্য রুমে ব্যাপক তছনছ চালায়। এমনকি একটি রুমের লক বাহির থেকে খুলে তল্লাশি চালায়। দুষ্কৃতিকারীরা জাহিদ হোসেনের রুমের দরজা খোলার চেষ্টা করলেও ভেতর থেকে নিরাপদ লক লাগানো থাকায় তারা ব্যর্থ হয়।
তার ছেলের রুমেও সিটকিনি লাগানো ছিল। পর্দার ফাঁক দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে তারা জাহিদ হোসেনকে দেখেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সময় ভোরের আজান ও আশেপাশের মসজিদের মুসল্লিদের চলাচল শুরু হলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়
বলে জানা গেছে। ঘুম ভেঙে জাহিদ হোসেন বাহিরে এসে দেখতে পান রুমের দরজার সামনে নতুন কাঁচি কাটার পড়ে আছে, সমস্তো গ্রিলের তালা ভাঙা, দরজাগুলো খোলা এবং ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই জোড়া স্যান্ডেলও ফেলে যায় হামলাকারীরা।
তিনি দ্রুত ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে ফোন দিলে দারোগা আলমগীরের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করে। তারা ঘটনাস্থলের চিত্র ধারণ করে আলামত সংগ্রহ করে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি সাধারণ চুরির ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা হতে পারে।
ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি তবে তদন্ত চলছে। এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘটনার পর থেকে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, এস এম জাহিদ হোসেন রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় এবং সম্প্রতি বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করছেন।