মানিক দাসঃ
ফরিদপুরে অটোরিকশা চালক হৃদয় হোসেন বাবুল হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার বেলা দেড়টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন জেলার সদর উপজেলার খাসকান্দি দীঘিরচালা গ্রামের মৃত মইনুদ্দিন শেখের ছেলে শাহিদ শেখ(৩৮)। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বনি গ্রামের মৃত হালিম শিকদারের ছেলে নজরুল সিকদার(৩৩)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলো জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ধুলদি গোবিন্দপুর গ্রামের রিপন খানের ছেলে রাব্বি খান(২৩)।
এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে বিশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড আদায়ের আদেশ দেয়া হয়।
আদালতের রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহিদ শেখ বাদে বাকি দুই আসামি অনুপস্থিত ছিল। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২১ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসেদপুর উপজেলার বনি গ্রামের আবু বক্কর মুন্সির ছেলে হৃদয় হোসেন বাবুল (২৭) ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। স্থানীয় এক ব্যক্তির ভাষ্যমত জানা যায় চার যুবক ঐদিন সন্ধ্যায় মুকসেদপুর বরইতলা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাবুলের অটো রিকশাটি রিজার্ভ ভাড়া ঠিক করে। অনেক রাত হলেও সে আর ঐদিন বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের দুইদিন পর ফরিদপুর সদর উপজেলার হঠাৎ বাজার কাজীরটেক এলাকায় বেড়িবাধের পাশ থেকে আগুনে পোড়া বাবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের মামা দেলোয়ার হোসেন ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন উপায়ে এই হত্যাকাণ্ড ও রিকশা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জন কে সনাক্ত করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ২০২১ সালের ৮ ই ডিসেম্বর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী মোঃ নওয়াব আলী মৃধা জানান, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ছিনতাই করা উদ্দেশ্যে চালককে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।