এস এম শুভ – তৌসিফ মাহবুব, আইশা খান এবং রোদসী সিদ্দিকা কে নিয়ে এবারের ঈদ-উল-আযহায় পরিচালক জুটি অমিতাভ আহমেদ রানা ও সুব্রত মিত্র নির্মাণ করেছেন “বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেস্টফ্রেন্ড ফ্রি”নামক একটি একক নাটক। রূপান্তরের রচনায় নাটকটিতে অতিথি শিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছেন মিলি বাসার ও আজম খান।বাংলাভিশনে ঈদের ২য় দিন রাত ১০টা ৪০ মিনিটে নাটকটি প্রচারিত হবে। নাটকটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন সুমন হোসেন এবং সম্পাদনায় রমজান আলী।
এই নাটকটির গল্পে দেখা যাবে মির্জা ও তিথি’র প্রেমের বয়স প্রায় ছয় মাস।গত তিন মাস ধরে তিথি প্রায় প্রতিদিনই মির্জার বাবা -মা’র সাথে দেখা করতে চায়।অথচ মির্জার ব্যস্ততা,কোনদিন মির্জার বাবা বাসায় নেই, তো অন্য দিন মা অসুস্থ এমন নানান অজুহাতে মির্জা তাকে তাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছে না।একপর্যায়ে তিথির যেন সন্দেহ হয়।কেন মির্জা নিজের পরিবারকে তিথির কাছ থেকে আড়াল করতে চাইবে? কারনটা জানা জরুরী। সেই মিশনে তিথি আজ মির্জা কে একপ্রকার বাধ্যই করে তাকে মির্জাদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।
মির্জার বাসার দরজা খুলতেই তিথির সামনে যেন প্রথম বোমাটা ফাটে।একটা তরুণী মেয়ে দরজা খুলেই মির্জা কে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরে তার নিজের চাকরির প্রমোশনের সুসংবাদ দেয়। নিজের হবু শশুর শাশুড়িকে সারপ্রাইজ দিতে এসে তিথি নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে যায়।জানা যায় তরুণীর নাম কাজল। নাম শুনেই তিথি বুঝতে পারে, এই সেই কাজল যাকে মির্জা নিজের বয়ফ্রেন্ড বলে দাবি করে এসেছে এতদিন। তিথি তো ভেবেছিল কাজল কোন ছেলের নাম।
বাসায় ঢোকার পর দ্বিতীয় বোমাটা ফাটে। জানাযায় কোন এক নিকট আত্মীয়র মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মির্জার বাবা মা হঠাৎ করেই দেশের বাড়িতে গেছে। তাই কাজল কে ফোন করে বাসায় আসতে বলে মির্জার মা, যেন কাজল মির্জার জন্য দুপুর ও রাতের খাবার তৈরি করে দিয়ে যেতে পারে। কাজলের অফিস আজ বন্ধু থাকাই সে চলে আসতে পেরেছে। তিথির মনের প্রশ্ন মুখে ফোটে। এত বড় একটা ঘটনা কেন মির্জা কে কল করে জানানো হল না? জানা যায় এটা নাকি এমন কোন বড় ঘটনা না। মির্জার বাবা মা বাসায় না থাকলে কাজলকেই নাকি এই বাসায় দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যায়। মির্জার উপর ভরসা পাইনা তার মা। তিথিও যেন মির্জার উপর ভরসা হারাতে থাকে।
এরপর কোনদিন দুজনের মুভি দেখার প্লান থাকলে সেখানেও কাজল এসে হাজির হয়। কাজলের উপস্থিতি তিথিকে বিরক্তক করলেও সেইটা যেন মির্জার নজরে পড়ে না।তিথি মুভির প্লান ক্যানসেল করে শপিং এ যেতে চাইলে এখানে কাজল তাদের পিছু ছাড়ে না।
এমন সব ঘটনায় তিথির সন্দেহ বাড়তে থাকে মির্জা ও কাজলকে নিয়ে। সন্দেহ চূড়ান্ত পর্যায়ের পৌঁছায় যেদিন সে দেখে মির্জা তাকে মিথ্যা কথা বলে কাজলকে নিয়ে মার্কেটে গিয়ে শপিং করছি। তিথি সিদ্ধান্ত নেয়,মির্জার সাথে সম্পর্ক রাখা আর সম্ভব নয়। মির্জা কে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই তিথি মির্জার সাথে ব্রেকআপ করে।
পরদিন কাজলের ফোনে তিথির ঘুম ভাঙ্গে। কাজল জানায় মির্জার ভালো চাইলে নির্দিষ্ট ঠিকানায় সময় মতো যেন তিথি উপস্থিত হয়। অনিচ্ছা নিয়েও কাজল সেখানে উপস্থিত হলে শুরু হয় নাটকের নতুন ঘটনা। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের মূল কাহিনী।