ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র অনেকদিন ধরেই। তবে ইতোমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশ ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের টার্গেট এখন সৌদি আরব। কারণ দেশটির ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করলেই একই পথে হাঁটবে অনেক মুসলিম দেশ। তাই তো সৌদি আরবও অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপে হাঁটছে। তবে ভেতরে ভেতরে নাকি সৌদি প্রশাসন চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল। কিন্তু তার মধ্যেই শুরু হয় গাজা যুদ্ধ। ফলে থমকে গেছে সব ধরনের অগ্রগতি। যদিও এর মধ্যেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। গাজার যুদ্ধের মধ্যেই একাধিকবার রিয়াদ সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে সৌদি আরব।
বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
তবে এর আগের দিন মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব ও ইসরাইল আগ্রহী বলে তারা জানতে পেরেছেন।
এরপরই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিবৃতি দিল। এতে বলা হয়েছে, কিরবির ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের বিষয়ে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা ওয়াশিংটনকে পরিষ্কার করতে এ বিবৃতি দেওয়া হলো।
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনও সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সৌদি যুবরাজ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি চান গাজায় যুদ্ধের অবসান হোক।
গত সোমবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক হয়। এর পরদিন মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেন।