নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের মামলাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবৎ দেশের আদালত, বিচারবিভাগ, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টা চলছে।
আনিসুল হক বলেন, ‘দেশকে হেয় করার জন্য ও ব্যক্তিস্বার্থে ষড়যন্ত্র চলছে। যা করা হচ্ছে তা দেশকে পরাজিত করানোর জন্য। যারা বিদেশ থেকে বিচারকাজ দেখতে আসতে চায়, তাদের তো আরো আগে আসা উচিত ছিল। এখন দেখার কিছু নাই। তারপরও আপিল বিভাগে এখন যে কার্যক্রম চলবে তা যে কেউ দেখতে পারেন।’
বিশ্বজুড়ে অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের পর সবাই সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়, তাই এই সংবাদ সম্মেলন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বলা হচ্ছে সরকার হয়রানি করছে ও শ্রমিকরা মামলা করে নাই। অথচ ২০১৭ সাল থেকে শ্রমিকরা বলে আসছে অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে ও ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্র্যতা দেয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের মামলা ও আশ্বাসের পরও ন্যায্য প্রাপ্তি না দেয়ায় শ্রম অধিদপ্তর মামলা করেছিল। তাদের সব দেবার আশ্বাসের পর মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। মানে অপরাধ স্বীকৃত।
আনিসুল হক বলেন, সকল পক্ষ স্বীকার করেছে যে শ্রমিকরা ন্যায্য প্রাপ্য পাচ্ছিলেন না। যত বার সময় চেয়েছেন ড. ইউনূস সুযোগ পেয়েছেন। যুক্তি–তর্ক উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে দুইপক্ষের আইনজীবী। সব ধারা বিশ্লেষণ করে ৬ মাসের কারাদন্ড ও আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশ থেকে দূর হওয়া দরকার।
শ্রম আদালত ২২ হাজার পেন্ডিং মামলা রয়েছে, সেখানে এই মামলা এতো দ্রুত নিস্পত্তির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আইনের বাহিরে কিছু করা হয়নি। সাধারণ মানুষ এই সমস্ত মামলার ট্রায়াল দ্রুত দেখতে চায়।
আইনমন্ত্রী বলেন, সব অকাঠ্য প্রমাণ থাকার পরেও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে সরকার হয়রানি করছে। আমি বলতে চাই, সরকার কোন মামলা দিচ্ছে না। দেশের শ্রম আইনের বিধাান অনুযায়ী একজন শ্রম দপ্তরের পরিদর্শক ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করে সমস্যা দেখতে পান। এর পর ২০২১ সালের ১ মার্চ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির জবাব যুক্তিযুক্ত না হওয়ায় ওই বছরের ১ আগস্ট আবারো গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শন করা হয়। ওই মাসের ১৯ তারিখে আবার আইন লঙ্ঘনের চিঠি দেওয়া হয়। ওই বছরের ৯ অক্টোবর চিঠির জবাবের প্রেক্ষিতে ৩০৩/ঙ ও ৩০৭ ধারায় মামলা করা হয়।