কিং কারাতে বাংলাদেশের আয়োজনে ৬টি গ্রুপে দেড়শতাধিক প্রশিক্ষনার্থী অংশ নিয়েছেন।কিং কারাতে অংশ নিয়ে শরীরিক সুস্থতা ও আত্মরক্ষায় শিশু-কিশোর ও কিশোরীদের তৈরী করতে ফরিদপুরে চলছে এই প্রশিক্ষণ।
ফরিদপুর শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে কিং কারাতে প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন আত্নরক্ষার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সীরা।
শনিবার দুপুরে ফরিদপুর শেখ জামাল স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ আন্ত: কিং কারাতে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রত্যেক গ্রুপের ৫ বিজয়ীর হাতে ব্লাক বেল্ট তুলে দেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি কামরুল আহসান তালুকদার। এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীকে গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয়।
নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেওয়ার ফলে শারিরিক ও মানসিক ভাবে দৃঢ়তা অর্জন করতে পেরেছে বলে দাবি কিং কারাতে অংশ নেওয়া ক্ষদে ক্রীড়াবিদদের। কিং কারাত শিখতে আসা খুদে ক্রিড়াবিদরা জানান, আমরা নিজের আত্মরক্ষা এবং সুস্থ শরীর গঠনে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি।
কিং কারাতে বাংলাদেশের আয়োজেন দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৬টি গ্রুপে দেড় শতাধিক শিশু-কিশোর-কিশোরীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রশিক্ষক জহিরুল ইসলাম আলী।
তিনি বলেন, ছয় থেকে আট মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে যে কোনো মেয়ে বা ছেলে নিজেকে আত্নরক্ষায় নিভরতা অর্জন করেছে এখানে। শুধুমাত্র-ফুটবল বা ক্রিকেটকে সরকারি পৃষ্টপোষকতা না দিয়ে কারাতেসহ বিভিন্ন গেমকে এগিয়ে নেওয়ার আহবান তার ।
এ প্রশিক্ষন প্রাপ্তরা যেকোন বিপদে আত্নরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার । তিনি বলেন, একদম মানুষের ওর শরীর গঠনের ক্রিড়ার বিকল্প নেই, কিং কারাত অন্যতম একটি ইভেন্ট, এটি সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা হয়, একজন ভালো মানের কিং কারাত ক্রিড়াবিদের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। আমরা সরকারিভাবে এই ইভেন্টের গুরুত্ব দিতে চেষ্টা করে যাব।