সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ছিনতাইকারীর কবল থেকে উদ্ধার করতে কক্সবাজারের পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন মালিক মো. আজিম।
অভিযোগের পর গাড়ি উদ্ধারে ছিনতাইকারীদের কললিস্ট বের করার নামে ১০ হাজার টাকা ঘুস নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক। এরপর থেকে তিনি আর ভুক্তভোগীর ফোন ধরেননি। পরে বাধ্য হয়ে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করেন আজিম।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নানাভাবে অটোরিকশাটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে দাবি এসআই নাজমুলের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আজিমের কাছ থেকে অটোরিকশাটি ভাড়া নিয়ে চালান রবিউল আলম নামের এক চালক। রবিউল ২৯ আগস্ট অটোরিকশা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে পেকুয়া আসার পথে আনোয়ারার বরুমছড়া এলাকায় পৌঁছালে সংকেত দেন তিন যাত্রী। পরে রবিউল তাদের নিয়ে কিছু দূর যেতেই হাতমুখ বেঁধে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেন যাত্রীবেশী ব্যক্তিরা। তিন দিন পর খোঁজ মেলে রবিউল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে ছিনতাইকারীরা আজিমের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এমনকি টাকা আদায় করতে ছিনতাইকারীরা তাকে বিকাশ নম্বরও দেন। এ ঘটনায় আজিম পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করেন এসআই নাজমুল। অভিযোগ পাওয়ার শুরুতে অটোরিকশা উদ্ধারে তাকে এসআই নাজমুল ঘুসের জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ আজিমের। তিনি বলেন, এসআই নাজমুল প্রথমে অভিযোগ হাতে নিয়ে দুই হাজার টাকা নেন। একদিন পর ছিনতাইকারীর কল লিস্ট বের করতে হবে বলে আবারও দশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি তখন তাকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি দুই হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা ছিল। আমি তার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে হতাশ হয়েছি। ছিনতাইকারীরা আমাকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কল দিয়ে টাকা দাবি করার বিষয়টি জানাতে শতবার ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি ধরেননি। অথচ ঘুস নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি নিজেই ফোন দিয়েছেন। অবশেষে পুলিশের আশা ছেড়ে ছিনতাইকারীদের দেড় লাখ টাকা দিয়ে অটোরিকশাটি উদ্ধার করি।
অভিযোগ বিষয়ে এসআই নাজমুল বলেন, তার অটোরিকশাটি যে টাকা দিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটা আপনার কাছ থেকে এখন জানলাম। আমি আজিমের কাছে কোনো টাকা নিয়নি। বরং অটোরিকশাটি উদ্ধারে ছিনতাইকারীদের লোকেশন বের করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করেছি। এক সপ্তাহ ধরে আজিম আমার ফোন ধরছেন না।