1. admin@banglarakash.com : admin :
August 24, 2025, 9:01 am

তারেক-জোবাইদার মামলার রায় আজ, আদালতে নিরাপত্তা জোরদার

বাংলার আকাশ নিউজ ২৪ ডট কম Email:banglarakashnews24@gmail.com
  • Update Time : Wednesday, August 2, 2023,
  • 17 Time View
Spread the love

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। বিএনপির আশঙ্কা, সরকারের নীলনকশায় পরিচালিত তথাকথিত বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হতে পারে। আর রায়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে দুদক।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে তারেক-জোবাইদার মামলার রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪২ জন সাক্ষ্য দেন।

এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার রায় ঘিরে ঢাকা মহানগর আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের গারদের তদারকি অফিসার পুলিশ পরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, রায়কে ঘিরে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়, আজ বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিত রয়েছে।

ফরমায়েশি সাজার আশঙ্কা মির্জা ফখরুলের : মামলায় রায় ঘোষণার একদিন আগে মঙ্গলবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।  এতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানকে ক্যামেরা ট্রায়ালে সরকার সাজা দেওয়ার নীলনকশা করেছে। আশঙ্কা করছি, সরকারের নীলনকশায় পরিচালিত এই তথাকথিত বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হতে পারে।’

তবে এতকিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করা হয় তবে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে যাবে, আস্থা হারাবে।

তিনি বলেন, ‘দেশের লাখ লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের (তারেক রহমান-ডা. জোবাইদা রহমান) এই মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা এই ধরনের বিচারকাজের বৈধ্যতার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকার দলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।’

এই মামলা চলার মতো কোনো আইনগত উপাদান নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেননা তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সালে জমা দেওয়া হয়েছিল, তার পুরোপুরিভাবে আয়কর জমা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা এফডিআর, অথচ ওই এফডিআর মামলা দায়েরের আগেই (২০০৫-২০০৬) অর্থবছরের ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া হয়েছিল।’

দুদক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধী দল দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। এর আগে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কারান্তরীণ এবং এখন গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন।

তারেকের সহযোগী হিসাবে জোবাইদার শাস্তি প্রত্যাশা দুদকের : আদালত প্রতিবেদক জানান, দুদকের দাবি সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সহযোগিতা করেছেন তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সহযোগিতা করেছেন তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। আমরা সব সাক্ষ্য-প্রমাণে তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ২৬ (২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আমরা যুক্তি উপস্থাপন শেষে তাদের দুই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।’


Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LatestNews
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT