অধিনায়ক শাই হোপ (১৩২) ও নিকোলাস পুরানের (১১৫) সেঞ্চুরির সহায়তায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৩৯ রানের পাহাড় দাঁড় করানোর পর ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নেপাল লড়াই করার সাহস দেখিয়ে স্কোর বোর্ডে জমা করল ২৩৮ রান। এভারেস্টের দেশ ব্যাট হাতে লড়াই করে হারল ১০১ রানে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় জিম্বাবুয়ের হারারেতে। এই জয়ে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুপার সিক্সে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো।
এটি হোপের ১৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আর ২০১৯ বিশ্বকাপের পর নবম শতরানের ইনিংস। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন ক্যারিবীয় কাপ্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে আটটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তালিকায় তিনে রয়েছেন পাকিস্তানের আরেক ব্যাটার ফখর জামান। একই সময়ে তিনি করেছেন ছয়টি সেঞ্চুরি। পাঁচ সেঞ্চুরি করে চার নম্বরে আছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।
ম্যাচসেরা হোপ ও পুরান চতুর্থ উইকেটে ২১৬ রানের জুটি গড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করে। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ নেপাল। তাদের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান আরিফ শেখ (৬৩)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৩৯/৭, ৫০ ওভারে (ব্রেন্ডন কিং ৩২, শাই হোপ ১৩২, নিকোলাস পুরান ১১৫, রোভম্যান পাওয়েল ২৯, জেসন হোল্ডার ১৬*। ললিত রাজবংশী ৩/৫২)। নেপাল ২৩৮/১০, ৪৯.৪ ওভারে (আসিফ শেখ ২৮, রোহিত পাউড়েল ৩০, আরিফ শেখ ৬৩, দীপেন্দ্র সিং ২৩, গুলশান ঝা ৪২, করণ কেসি ২৮। হোল্ডার ৩/৩৪, আলজারি যোসেফ ২/৪৫)। ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শাই হোপ।