বিয়ের দাবিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওসি সেলিম রেজা চৌধুরীর বাড়িতে অনশনে বসেন এক নারী উদ্যোক্তা। এ সময় তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বতর্মানে তিনি তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বানিয়াবহু গ্রামে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার বাসিন্দা।
ওসি সেলিম রেজা চৌধুরী বানিয়াবহু গ্রামের মৃত মান্নান চৌধুরীর ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর দাবি, ২০২০ সালের শেষ দিকে সেলিম রেজা নাচোল থানার ওসি থাকাকালে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে মামলা সংক্রান্ত কাজে যাওয়া-আসা সূত্রে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা পরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে জেলা শহরের নাখেরাজপাড়ায় ওসি তার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
তিনি আরও দাবি করেন, বিভিন্ন সময় হোটেলে নিয়েও তাকে ধর্ষণ করেছেন ওসি। সে জন্য তিনি তার গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করতে এসেছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে ওসির স্ত্রী ইয়াসমিন পপি ও সেলিম রেজার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে ব্যাগে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। পরে তাড়াশ থানার ওসি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলেও জানান।
সেলিম রেজা চৌধুরীর স্ত্রী ইয়াসমিন পপির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোনটি কেটে দেন।
তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অনশনে থাকা ওই তরুণীকে মারধর করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।