1. admin@banglarakash.com : admin :
September 10, 2025, 12:16 pm

‘এরদোগান আমার কাছে সবকিছু’

বাংলার আকাশ নিউজ ২৪.কম Email: banglarakashnews24@gmail.com
  • Update Time : Monday, May 29, 2023,
  • 24 Time View
Spread the love

তুরস্কে দ্বিতীয় দফার (রান-অফ) ভোটে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

৯৯.৪৩ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এরদোগান ৫২.১৬ শতাংশ ভোট পাওয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আহমেত ইয়েনার।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৪ শতাংশ ভোট। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৮৫.২৪ শতাংশ।

দু’দশক সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার পর এবং এক ডজনেরও বেশি নির্বাচনের পর, তুরস্কের নেতা এরদোগান জানেন কীভাবে সবকিছু সামাল দিতে হয়। ইস্তাম্বুলে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের এক সম্মেলনে তাকে কাছে পেয়েও মানুষের যেন আশ মিটছিল না।

অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টরের মতোই তিনি জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তার ইশারা মতো ট্যাক্সি ড্রাইভাররা উল্লাস করছিলেন, হাততালি দিচ্ছিলেন।

সম্মেলনের স্থানটি ছিল বসফরাসের উপকূলে ইস্তাম্বুলের একটি কনভেনশন সেন্টার, যেটি নির্মিত হয়েছিল এরদোগান ওই শহরের মেয়র থাকাকালীন সময়ে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট যখন তার ভাষণ শেষ করেন, সমাবেশের উত্তেজনা তখন তুঙ্গে, ততক্ষণে অনেক বয়স্ক ড্রাইভার উত্তেজনায় উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলছিলেন ওপরের দিকে, কিংবা হাত তুলে প্রেসিডেন্টকে স্যালুট করছিলেন।

মাথায় স্কার্ফ আর রক্ষণশীল পোশাক পরে আয়েশে ওজদোয়ান ওই সমাবেশে গিয়েছিলেন তার ট্যাক্সি ড্রাইভার স্বামীর সঙ্গে।

তার নেতার ভাষণের প্রতিটি শব্দ যাতে তিনি শুনতে পান সে জন্য বেশ আগেই সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। সিটের পাশে ছিল একটি ক্র্যাচ। তার হাঁটতে কষ্ট হয়, কিন্তু তারপরও তিনি ওই সমাবেশে না গিয়ে থাকতে পারেননি।

‘এরদোগান আমার কাছে সবকিছু’ বিস্তৃত হাসি দিয়ে বলছিলেন তিনি। ‘আমরা আগে হাসপাতালে যেতে পারতাম না, কিন্তু এখন আমরা সহজেই সেবা পাই। আমাদের এখন পরিবহন ব্যবস্থা আছে। তিনি রাস্তাঘাট উন্নত করেছেন। মসজিদ নির্মাণ করেছেন। দ্রুত গতির ট্রেন আর পাতাল রেল দিয়ে তিনি দেশকে উন্নত করেছেন।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভাষণে জাতীয়তাবাদী বক্তব্য ছিল ওই সমাবেশের অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। এদেরই একজন হলেন ৫৮-বছর বয়সী কাদির কাভলিওলু, যিনি গত ৪০ বছর ধরে মিনিবাস চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা আমাদের মাতৃভূমি ও জাতিকে ভালবাসি, তাই আমরা দৃঢ়ভাবেই প্রেসিডেন্টের পেছনে রয়েছি। আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়ুক কিংবা কমুক।

তিনি বলছেন, প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা তার সঙ্গে আছি। আমার প্রিয় রাষ্ট্রপতিই আমাদের আশা-ভরসা।


Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LatestNews
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT