জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রোগী হয়রানি ও চিকিৎসাসেবা বঞ্চিতের প্রতিবাদ’সহ পাঁচদফা দাবিতে ‘নিরাপদ হাসপাতাল চাই’ (নিহাচ) আজ মানবন্ধন আয়োজন করেছে। সারাদেশে সুচিকিৎসা, রোগী, ডাক্তারদের নিরাপত্তাসহ, টেস্ট-মেডিসিনের মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে, চিকিৎসাক্ষেত্রে দালাল নির্মূলের দাবি জানান তারা।
শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’-কে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় নিরাপদ হাসপাতাল চাই (নিহাচ) এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। একইসঙ্গে বলতে চাই, দেশে এত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, এ দায় কার? সরকারি হাসপাতাল গুলোতে সঠিক চিকিৎসা প্রদানে ব্যর্থ হওয়াতেই বিদেশে ঝুকছে মানুষ।
সদস্য সচিব এফএ শাহেদ বলেন, সব সেক্টরগুলো খারপ লোকে ভরে গেছে, ভণ্ডামী আর লুটপাটে ব্যস্ত তারা। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। সরকারি হাসপাতালে যেখানে একদফা রেডিওথেরাপির জন্য ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা লাগে, সেখানে বেসরকারিতে প্রতি দফা পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। ক্যানসার আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য একবারে ২০ থেকে ৩০ দফা থেরাপি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এক টার্মথেরাপি সরকারি হাসপাতালে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় শেষ হলেও, বেসরকারিতে একটার্মে খরচ হয় এক থেকে দুই লাখ টাকা। এ অবস্থায়, প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ৮ হাজার মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। দেশে ১৭০টি ক্যানসার হাসপাতাল দরকার থাকলেও আছে ৩৪টি, সে গুলোতে চিকিৎসার পরিবর্তে হয়রানি আর ভোগান্তিই বেশি।
জনস্বাস্থ্যে উন্নতিসাধন রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য, তা নিশ্চিতে “নিরাপদ হাসপাতাল চাই” ৫ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। এই সেবা নিশ্চিত হবার আগ পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
৫ দফা দাবি হলো-
১। দালাল মুক্ত ও রোগীবান্ধব হাসপাতাল গড়তে হবে।
২। জেলা সদরে আইসিইউ, সিসিইউসহ সকল পরীক্ষা নিশ্চিত ও আসন বাড়াতে হবে।
৩। রোগী ও চিকিৎসকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। টেস্ট ফি এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিকের সভাপত্ত্বিতে, এফএ শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন- সালেকুজ্জামান রাজিব, অসিম আল ইমরান, মো. আবু মুসা আশয়ারী মনির, শাহরিয়ার সোহাগ (যুগ্ম-সদস্য সচিব), এম আর এফ আবির, রেজয়ান সিমান্ত, মাহবুবুর রহমান, নোমান বিল্লাহ, নিরোধ কুমার বর্মন, সৈয়দ মোহাম্মদ আজম, খতিব আসলাম, শারমীন আক্তার মিস্ট, আবদুল্লাহ কাফি, মাহমুদুল হাসান, কেএম সবুজ, এঞ্জেল নুসরাত, বিথী কর্মকার, তুষার সাহা অর্নব প্রমূখ।
এছাড়া মানববন্ধন সফল করতে সার্বিকভাবে পাশে ছিলেন, হাচান আল-বান্না (যুগ্ম আহ্বায়ক), রমেন রয়, আহসান হাবিব সবুজ ও কাজী ইহসান বিন দিদার।