শিরোনামঃ
বিদ্রুপের জেরে এএসপি প্রত্যাহার: এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা নিয়ে দিনাজপুরে তোলপাড় ৩ গুণ ব্যয় বেড়েও ১২ বছরে শেষ হয়নি প্রকল্প: সুফল থেকে বঞ্চিত জনগন থামছে না হত্যাযজ্ঞ: ইসরায়েলের হামলায় আরও ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল নিক্ষেপ গোপালগঞ্জে রণক্ষেত্র সৃষ্টি -এনসিপির গাড়িবহরে ফের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলা সেকেলে অস্ত্র দিয়ে এখনকার লড়াইয়ে জেতা যাবে না বলে জানান ,ভারতের জেনারেল অনিল চৌহান রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ: ১৪৪ ধারা জারি, এনসিপি সমাবেশে হামলা-সংঘর্ষ পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের অ্যাপাচি হেলিকপ্টার মোতায়েন: সামরিক শক্তি বৃদ্ধি গোপালগঞ্জে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলার ঘটনা, এলাকায় উত্তেজনা ঢাকা-পাবনায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ভ্যানচালকের ঋণপ্রবাহ বাড়াতে নীতি সুদহার কমানোর ঘোষণা ওসি পদায়নে ২২ দফা নীতিমালা, ছয় বছরের বেশি ওসি পদে স্থায়ীত্ব থাকবে না পাকিস্তানে বৃষ্টিতে ১১১ জনের মৃত্যু, বন্যা ও ভূমিধসের শঙ্কা বর্ষায় সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলো দৃষ্টিশক্তি ও ত্বকের যত্নে মিষ্টি আলুর ভূমিকা জ্যামাইকায় মিচেল স্টার্ক ও বোল্যান্ডের তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক ব্যাটিং ধস গুলিস্তানে গাড়ির ধাক্কায় ট্রাক হেলপার নিহত ভালুকায় মা ও দুই শিশু সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার মির্জা ফখরুল এর মতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আরেফিন সিদ্দিক সুজন গ্রেপ্তার
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

ইয়াবা ছেড়ে মানবপাচারে, সক্রিয় ১৫ দালাল চক্র

বাংলার আকাশ নিউজ ২৪ ডট কম Email:banglarakashnews24@gmail.com
Update : সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩

Spread the love

বাংলার আকাশ ২৪ ডট কমঃ

মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ট্রলারে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে তারা বেছে নিয়েছেন গভীর রাত। মাঝে মধ্যেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে তাদের এই যাত্রায় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে দেখা যাচ্ছে মাঝ সাগরে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

রোহিঙ্গাদের এমন যাত্রাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হলেও দালাল চক্রের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এই চক্রের সদস্যরা একসময় ইয়াবাকারবারি হিসাবে পরিচিত ছিল। তারাই এখন স্থানীয় চক্রের সহায়তায় ট্রলার কিনে সাগর পথে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে মানবপাচার করছে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কক্সবাজারে এক সরকারি সফরকালে মানবপাচারের দালাল চক্র ও মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান। একইসঙ্গে বিভিন্ন এজেন্সির দেওয়া তালিকা সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে ১৩ থেকে ১৫টি দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। প্রত্যেক চক্রে ১৫ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে যারা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর যেতে চায়-তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার করে টাকা নেয়। ওই টাকার বড় অংশ স্থানীয় চক্রকে দেয়। কিছু টাকা দিয়ে ট্রলার কেনে। এরপর সবকিছু ঠিক করে মাথাপিছু আরও ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এরপর ট্রলারে কিছু শুকনা খাবার তুলে দিয়ে পাড়ি দেয় সাগর পথে।

সূত্র মতে, সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ মানব পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হলেও পাচারকারী চক্রের বিস্তৃতি রয়েছে মহেশখালী পর্যন্ত। মহেশখালীতে পাচারকারী চক্রের প্রধান ‘ঘাঁটি’ হচ্ছে কুতুবজোম ইউনিয়ন। উখিয়ার সোনারপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় ২০ জনের বেশি এবং টেকনাফে রয়েছে অর্ধশত পাচারকারী। এসব পাচারকারীদের সমন্বয়ে পৃথকভাবে রয়েছে ১০টির বেশি চক্র।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল দিয়ে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর কাজে জড়িত অন্তত ৫০০ দালালকে তারা চিহ্নিত করেছে। মূলত রোহিঙ্গাদের ঘিরেই এই চক্রটি বেশি সক্রিয়। রোহিঙ্গাদের মাদক বিক্রির টাকাই মূলত দালালদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর মানবপাচারের দালাল হিসে‌বে কাজ করছে ১৬ নম্বর ক্যাম্পের মো. সায়ীদের ছেলে রোহিঙ্গা মো. রফিক ও বাদশা মিয়ার ছেলে হারুনের নেতৃত্ব অন্তত ৫০ জন। এই চক্রের সদস্যরা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও বাহারছড়া উপকূল দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ মালয়েশিয়ায় পাচার করছে। এখানে দালালচক্রের নেতৃত্বে আছে শাহপরীর দ্বীপের ধলু হোসেন ও শরীফ হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। টেকনাফের সাবরাং এলাকার আকতার কামাল, সাঈদ কামাল, মোয়াজ্জেম হোসেন, রামুর কালিমারছড়ার মোহাম্মদ হোসেন, শাহপরীর দ্বীপ মাঝরপাড়ার জায়েত উল্লাহ, সব্বির আহাম্মদ, সাজেদা বেগম, আব্দুল্লাহ, ইউনুচ, কলিম উল্লাহ, আব্দুস শুক্কুর, ঘোলাপাড়ার শামসুল আলম, কবির আহমদ, হাজীপাড়ার মুজিব উল্লাহসহ অন্তত ২৫০ জনের নাম এসেছে।

টেকনাফের বাইরে দালাল হিসেবে পুলিশ চিহ্নিত করেছে প্রায় ২০০ জনকে। এই তালিকায় নরসিংদীর শাহজালাল, নুর মোহাম্মদ ওরফে ইমরান, জিয়াউর রহমান, আবদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের রফিকুল ইসলাম, শহিদ উল্লাহ, আবদুস সাত্তার, চুয়াডাঙ্গার আকিম, কাশেম, আকিল উদ্দিন, সিরাজগঞ্জের সাত্তার মোল্লা, কুড়িগ্রামের সালাম, সাতক্ষীরার আশরাফ মিয়া, বগুড়ার সাহাব উদ্দিন, যশোরের আবুল কালাম, মেহেরপুরের আহাম্মদ উল্লাসহ অন্তত ২০০ জনের নাম রয়েছে।

মানবপাচারের তালিকায় থাকা কয়েকটি বড় চক্র রয়েছে মহেশখালীর কুতুবজোনে। এরমধ্যে বড় চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে তাজিয়াকাটা এলাকার করিম উল্লাহর ছেলে নূর ওরফে বার্মাইয়া নূর। এই চক্রের সক্রিয় নেতৃত্বে রয়েছে, নূরের ভাই সেলিম, তাদের দূর সম্পর্কীয় ভাগিনা সোহেল, কুতুবজোম পশ্চিম পাড়ার বাদশা মেম্বারের ছেলে আবদুর রহিম ও তার ফুফাতো ভাই লুতু মিয়া।

এই চক্রটি এই মৌসুমে ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নূর চক্রের অন্যতম প্রধান হোতা টেকনাফের সাবরাংয়ের কাটাবনিয়ার হাসান আলীর ছে‌লে শহিদ উল্লাহ, যাকে বিভিন্ন মানব পাচার মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। তার কাজ জাহাজের সঙ্গে লেনদেন করা। জাহাজ ম্যানেজ করে চূড়ান্তভাবে যাত্রীদের মালয়েশিয়া পাঠানো হয় বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে খালি কনটেইনারে তাদের স্থান হয়। নাওয়া খাওয়া বন্ধ অবস্থায় তাদের কাটাতে হয় মাসের পর মাস। মাঝেমধ্যে শুকনা কিছু খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়। এদেরমধ্যে কারও মৃত্যু হলে ফেলে দেওয়া হয় মাঝ সাগরে।

উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে এনে কুতুবজোনসহ বিভিন্ন গোপন আস্তানায় একত্রিত করে পাচারকারী চক্র। তাজিয়াকাটা ঘাট থেকে রাতেই যাত্রা করে বঙ্গোপসাগরের উখিয়ার সোনারপাড়া, টেকনাফের বাহারছড়া শীলখালী ও নোয়াখালী পাড়াসহ এইসব স্থান থেকে ট্রলারে উঠানো হয়। এরপর গভীর সাগরে অপেক্ষমাণ মালয়েশিয়াগামী জাহাজের উদ্দেশ্য যাত্রা করে ট্রলারগুলো। প্রতিটি ট্রলারে পাচারকারী চক্রের অন্তত ১০জন থাকে। যাদের কাজ হুমকি দিয়ে ও মারধর করে মালয়েশিয়াগামীদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও জিম্মি করে রাখা। অনেক সময় বোট ডুবে গেলে তারা সাঁতরে মাছধরার ডিঙি নৌকায় আশ্রয় নেয়।

এ ব্যাপারে কুতুবজোনের ইউনিয়ন প‌রিষদ চেয়ারম্যান শেখ কামাল বলেন, ‘কুতুবজোন কেন্দ্রিক মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে এটা ঠিক। মূলত চিহ্নিত ইয়াবা পাচারকারী চক্রগুলোই মানবপাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কম ঝামেলায় বেশি টাকা আয়ের লোভেই ইয়াবা ব্যবসীয়রা শুষ্ক মৌসুমকে কেন্দ্র করে মানবপাচারে সক্রিয় হয়ে উঠে। এই বিষয়টি আমি বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে জানিয়েছি। ইয়াবা ও মানবপাচার রোধে আমার যা সহযোগিতা করা দরকার; প্রশাসন চাইলে আমি করবো।

(আহৃত)


Spread the love


এই বিভাগের আরো খবর

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১