বাংলার অকাশ ডেস্কঃ
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন।
বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও সশস্ত্র ড্রোন পাঠিয়ে হামলা চালালে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইরানি কুর্দিবিরোধী দলগুলোর ঘাঁটি ছিল বলে দাবি করেছে তেহরান। হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলেছে, তারা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের’ ওপর হামলা চালিয়েছে, যারা (ইরানের) সাম্প্রতিক ‘দাঙ্গাকে’ সমর্থন করেছিল।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হিজাববিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে। হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর মাশা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণী পুলিশি হেফাজতে মারা যাওয়ার পর দেশটিতে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহিংসতায় কয়েকডজন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে কট্টর রক্ষণশীল এ দেশটিতে।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশ যখন মাশা আমিনিকে গ্রেফতার করে, তখন তিনি তেহরানে তার ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন। হিজাব ও বোরকা না পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে একটি ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি পড়ে যান ও কোমায় চলে যান।
বুধবার ইসলামিক রেভুলিউশন গার্ড বাহিনী জানায়, তারা কমলার প্রধান ঘাঁটি ইরানি কুর্দিস্তানের ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিকেআই) এবং কুর্দিস্তান ফ্রিডম পার্টি (পিএকে) ‘নির্ভুল নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং আক্রমণকারী ড্রোন’ দিয়ে গত চার দিনের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো হামলা চালিয়েছে।
(ইরানের বিরুদ্ধে) হুমকিটি পুরোপুরি দমন না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও ইরানি এ বাহিনী হুশিয়ারি দিয়েছে।
কমলা নিশ্চিত করেছে যে, জার্গওয়েজ এলাকায় ১০টি ড্রোন হামলা হয়েছে। পিএকে বলেছে, শেরাওয়াতে তাদের সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে এবং পিডিকেআই বলেছে, কোয় সানজাকে অবস্থিত তাদের ঘাঁটি এবং সদর দপ্তরে হামলা করা হয়েছে।
কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোর ওপর হামলা যে কোনো অজুহাতেই একটি ভুল অবস্থান।’
(আহৃত)