বাংলার আকাশ ডেস্কঃ
ঠুনকো অজুহাতে বাতিল হয়ে গেল ৫৭০ কোটি টাকার ৩ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প। বিমানবন্দরগুলো হলো যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীর শাহ মুখদুম বিমানবন্দর। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন তিন বিমানবন্দর দিয়ে আসা-যাওয়া করা আকাশপথের যাত্রীরা। বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণেও বাড়বে ঝুঁকি। ভেস্তে যাবে সরকারের ফ্লাইট সম্প্রসারণ পরিকল্পনা। বিশেষ করে বিমানবন্দরগুলোয় ওয়াইড বডির বড় উড়োজাহাজ নামতে পারবে না। নতুন করে প্রকল্প হাতে নিলে সময় এবং ব্যয় দুটোই বাড়বে। কমপক্ষে ৫শ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় বাড়বে। সময়ও লাগবে আরও ৩ বছর বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই অবস্থায় দেশের আকাশপথের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন, তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।
গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২১তম সভায় এই প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। সভায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পটি নিয়ে দীর্ঘ কালক্ষেপণ এবং সরকারি টাকা অপচয়কারীদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যায়, ঠিকাদারের জনবল ও ইকুইপমেন্ট আছে কি না, এর প্রমাণ না থাকার অজুহাতে প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেবিচকের মতে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক এক প্রভাবশালী ‘ভাগিনা সিন্ডিকেট’-এর কমিশন বাণিজ্য না হওয়ার কারণেই মূলত রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এদিকে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বর্তমানে এই তিন বিমানবন্দরের রানওয়েগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে ড্যাস-৮ ও এটিআর মডেলের ছোট এয়ারক্রাফট ছাড়া অন্য উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারে না। প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে মাছের পোনা বহনকারী কয়েকটি বড় ফ্লাইট অবতরণ করছে। গত তিন দশকে ওই তিন বিমানবন্দরের রানওয়ের নুড়ি পাথর ওঠে যাওয়াসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য রানওয়ের দৈর্ঘ্য-প্রস্থও পর্যাপ্ত নেই।
যশোর বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১০-১২টি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। কিন্তু এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ৮ হাজার ৬০০ ফুট। সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দৈনিক গড়ে ১৫টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। এখানে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৮০০ ফুট। আর রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে দিনে ৮টি ফ্লাইট চলে। রানওয়ের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ হাজার ৬০০ ফুট। ভুটান ও নেপাল সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে ‘ট্রানজিট হাব’ হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়ায় আগ্রহী ওই দুটি দেশের ব্যবসায়ীরা। উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য স¤প্রসারণে দিনদিন এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বাড়ছে। কিন্তু প্রকল্পটি বাতিল হওয়ায় সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি বাতিল হওয়ায় আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। তার মতে, এই প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানসহ কোনো খাতেই অনিয়ম হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই সবকিছু করা হয়েছে। প্রকল্প বাতিলের জন্য যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, এর কোনো ভিত্তি নেই। বিষয়টি নিয়ে তিনি মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ে কথা বলবেন বলেও জানান।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক এক প্রভাবশালী ‘ভাগিনা সিন্ডিকেট’-এর কমিশন বাণিজ্য না হলে বেবিচকের কোনো প্রকল্পই আলোর মুখ দেখে না। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা একজন অতিরিক্ত সচিবের ভাগিনা। তার সঙ্গে রয়েছেন বেবিচকের সাবেক এক দাপুটে পরিচালক। বর্তমানে তিনি একটি বিদেশি বিমানবন্দরে চাকরি করছেন। এই ভাগিনা সিন্ডিকেটের মূল টার্গেট হলো প্রকল্পের সর্বনি ম্ন দরদাতা। প্রকল্পটি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাওয়ার আগেই সিন্ডিকেট সর্বনি ম্ন দরদাতার কাছে গিয়ে হাজির হন। তাদের কাছে মোট কাজের ১০ শতাংশ কমিশন দাবি করেন। ঠিকাদারকে হুমকি দেয় তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী কমিশন না দিলে প্রকল্পটি মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল হয়ে যাবে।
আরও জানা যায়, ৩ বিমানবন্দরের রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ প্রকল্পটির এক ঠিকাদারের কাছেও গিয়েছিল এই সিন্ডিকেট। তারা ৫৬৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পের জন্য মোট অঙ্কের টাকার কমিশন দাবি করেছিল। কিন্তু ওই ঠিকাদার কমিশন দিতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদার বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতে প্রকল্পটি লাভজনক হবে না। তারপর সিন্ডিকেটকে কমিশন দিলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। অপর এক ঠিকাদার জানান, একই প্রকল্পে একই টেন্ডারের একটি লট পাশ করা হয়েছে। অথচ ৩টি লট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এটা রহস্যজনক। বিষয়টি তদন্ত করলে ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসবে। ওই ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, এই প্রকল্প বাতিলের নেপথ্যে যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ তাকে আবার তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২০ আগস্ট প্রকল্পটির ডিপিপি অনুমোদন করে সরকার। এর মধ্যে যশোর বিমানবন্দরের জন্য ২৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের জন্য ১১৮ কোটি ২১ লাখ এবং শাহ মখদুম বিমানবন্দরের জন্য ১৪১ কোটি ২৪ লাখ টাকা অনুমোদন করে মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ১০ মে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। একবার দরপত্র দাখিলের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং একবার দরপত্র সংশোধনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। মোট ৬টি দেশি-বিদেশি কোম্পানি এই দরপত্রে অংশ নেয়। দরপত্রগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়। মূল্যায়ন কমিটি যশোর বিমানবন্দরের জন্য ২৩৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনকে, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের জন্য ১২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে আব্দুল মোনেম কোম্পানিকে এবং শাহ মখদুম বিমানবন্দরের জন্য ১৮৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনকে সর্বনি ম্ন দরদাতা হিসাবে চ‚ড়ান্ত করে। এরপর বেবিচক চেয়ারম্যান প্রকল্পটি টিইসির মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও ক্রয় প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয় দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে বেশকিছু তথ্য জানতে চেয়ে বেবিচককে চিঠি দেন। বেবিচক সব তথ্যের উত্তরসহ ফের ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু এরপরও রহস্যজনক কারণে প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়।
বেবিচকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাতিলের কারণ হিসাবে যেসব যুক্তি দেখিয়েছে, সবই ঠুনকো, হাস্যকর ও অযৌক্তিক দাবি; যা কোনোভাবেই একটি আন্তর্জাতিক দরপত্রের জন্য যুক্তিযুক্ত ছিল না।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রকল্প বাতিলের জন্য যেসব যুক্তি দেখানো হয় তা হলো দরপত্র দলিলে লট-১-এর জন্য ১৬ জন, লট-২-এর জন্য ১৫ জন এবং লট-৩-এর জন্য ১৫ জনবলের কথা বলা আছে। এছাড়া আইটিটি-এর বিপরীতে ৩টি লটের জন্য ২৯টি আইটেম যন্ত্রপাতির কথা বলা আছে। বেবিচক এসব জনবল ও যন্ত্রপাতির শর্তের বিপরীতে শুধু সাবমিটেড লিখে মূল্যায়ন কমিটিতে যথাযথভাবে দাখিল করা হয়েছে মর্মে মতামত দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রত্যেক জনবল ও যন্ত্রপাতির বিস্তারিত মূল্যায়ন ও পোস্ট কোয়ালিফিকেশনে প্রমাণ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উলেখ নেই। একই দরদাতাকে দুটি লটের জন্য সুপারিশ করা হলেও ২টি লটের জন্য মোট যে জনবল ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন দরদাতার বাস্তবে তা আছে কি না পোস্ট কোয়ালিফিকেশনে, তা যাচাই করে প্রমাণ দিতে পারেনি মূল্যায়ন কমিটি। দরদাতার স্পেসিফিক এক্সপেরিয়েন্স চীনা দূতাবাস থেকে প্রত্যয়ন করা হয়েছে কি না, এর প্রমাণ নেই। এসব বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যানের কাছে বিস্তারিত মূল্যায়ন ও প্রমাণপত্র চাওয়া হলেও তা দিতে পারেনি বেবিচক। ওই চিঠিতে সচিব আরও বলেন, এর আগে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প দুটির মেয়াদ যথাক্রমে সাড়ে ৩ বছর ও আড়াই বছর বাড়াতে হয়েছে। এখানেও লট-১ যশোর ও লট-৩ রাজশাহী বিমানবন্দরের জন্য একই দরদাতা চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের অনুক‚লে দরপত্র গ্রহণের সুপারিশ করা হলেও যথাযথ পোস্ট কোয়ালিফিকেশন ঘাটতি রয়েছে। লট-৩-এ সর্বনি ম্ন দরদাতার মূল্য দাপ্তরিক প্রক্কলনের চেয়ে ৩৫.৮১ শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে কোনো বাজারমূল্য নিরূপণ না করেই দাপ্তরিক প্রাক্কলনের বেশি বেশি সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেবিচকের মতামত পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের ক্রয়ে দাপ্তরিক প্রক্কলিত ব্যয় প্রস্তুতের জন্য কোনো কমিটি করা হয়নি। ১০ জন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে তা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ৩টি লটের ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য উন্মুক্তকরণ কমিটি কর্তৃক উন্মুক্তকরণপূর্বক তা ঘোষণা করা হয়নি এবং সিটে তা লিপিবদ্ধ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই প্রকল্পের ৩ জন ঠিকাদারই বর্তমানে সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছে। আব্দুল মোনেম গ্র“প দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প থার্ড টার্মিনালে কাজ করছে। সেখানে তাদের পর্যাপ্ত জনবল ও সব ধরনের যন্ত্রপাতি ও ইকুইপমেন্ট রক্ষিত আছে, যা আমাদের বাউন্ডারি এরিয়ার মধ্যে আছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এরপরও ঠিকাদারের যন্ত্রপাতি ও জনবল আছে কি না, এ অজুহাত তুলে ধরা রহস্যজনক। একই সঙ্গে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনও কক্সবাজার বিমানবন্দরে কাজ করছে। সেখানেও তাদের পর্যাপ্ত জনবল ও ইকুইপমেন্ট আছে। এটিও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। কাজেই জনবল ও ইকুইপমেন্টের অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্প বাতিলের জন্য সুপারিশ করা খুবই দুঃখজনক। বাস্তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনো রহস্য আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
লট-৩-এ সর্বনি ম্ন দরদাতার মূল্য দাপ্তরিক প্রক্কলনের চেয়ে ৩৫.৮১ শতাংশ বেশি হওয়ায় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে প্রসঙ্গে বেবিচক কর্মকর্তা বলেন, এ নিয়ে মন্ত্রণালয়কে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় তাতে সম্মতিও দিয়েছে। কিন্তু তারপরও রহস্যজনক কারণে ফের সারসংক্ষেপে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এখন তো ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। তাহলে এজন্য কে দায়ী হবেন?
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ফলে আকাশপথে উড্ডয়ন বেড়েছে। তাতে ব্যস্ততা বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর। যাত্রীসংখ্যাও বাড়ছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। আকাশপথের যাত্রা উৎসাহিত করতে গত কয়েক বছরে বেবিচক বেশকিছু প্রকল্পও হাতে নিয়েছে।
উলিখিত প্রকল্পের আওতায় যশোরে ২৮০ মিলিমিটার, সৈয়দপুরে ২১০ মিলিমিটার ও রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের ২৭০ মিলিমিটার পুরু অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলে করা হবে। এর মানে, নতুন করে রানওয়ের ঢালাই দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি এসব বিমানবন্দরে এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং (এজিএল) সিস্টেমের আপগ্রেডেশন, রানওয়ে সাইড-স্ট্রিপসহ ড্রেনেজব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রতিটি বিমানবন্দরের জন্য পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি করে আধুনিক অগ্নিনির্বাপক গাড়ি কেনা হবে।
(আহৃত)