কমনওয়েলথ গেমসের টেবিল টেনিসে আশাজাগানিয়া নৈপুণ্য দেখাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ টিটি দল। বক্সিংয়েও হার। দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে জিতলেও সবলদের কাছে বিধ্বস্ত লাল-সবুজ দল। মেয়েদের এককে প্রথম খেলাতে জয় পেয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড়।
মেয়েদের এককে সোমা ৪-০ সেটে সলোমন আইল্যান্ডের কোনি সিফিকে হারান। প্রথম তিন সেটে সোমার কাছে পাত্তা পাননি কোনি। ১১-১, ১১-৬, ১১-২ গেমে জেতেন সোনম সুলতানা সোমা। চতুর্থ গেমে কোনি কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়লেও চতুর্থ গেম ১১-৯ পয়েন্টে জিতে সোমা বাংলাদেশকে প্রথম জয় এনে দেন। মেয়েদের এককের দ্বিতীয় ম্যাচে সাদিয়া রহমান মৌ ভানুয়াতুর আবেল রোয়ান্নাকে ৪-০ সেটে হারান। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা হয়নি সোমার।
প্রথম ম্যাচেই কোমরে টান লেগেছিল। টিটি দলের দলনেতা হাসান মুনীর বলেন, ‘সোমার খেলার সময় দলের সঙ্গে কোনো ডাক্তার ছিলেন না। সেজন্য আমি সোমাকে স্থানীয় ফিজিওর কাছে নিয়ে যাই। কিন্তু সোমাকে আর খেলার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হয়নি। ইনজুরড হওয়ায় কানাডার ক্যাথারিনকে ওয়াকওভার দিতে বাধ্য হন সোমা।’ মৌ ৪-০ সেটে নাইজেরিয়ার ইস্তাহেরের কাছে হারেন।
পুরুষ এককে মালদ্বীপের আহমেদ মুছা মুনসিভকে ৪-৩ সেটে হারান বাংলাদেশের রিফাত সাব্বির। দ্বিতীয় খেলায় ঘানার ডেরেক আবরিফার কাছে ৪-০ সেটে হেরে বিদায় নেন সাব্বির। রামহীম লিয়ন প্রথম খেলায় ০-৪ সেটে উত্তর আয়ারল্যান্ডের ক্যাথচার্টের কাছে বিধ্বস্ত হন। ৩-১১, ৫-১১,
২-১১ এবং ৮-১১ ব্যবধানে চার সেটেই হার মানেন রামহীম। দ্বিতীয় খেলায়ও গায়ানার সিমার ব্রিটনের কাছে ৪-১ সেটে হার।
হেরে বিদায় নিলেন বাংলাদেশের বক্সার হোসেন আলী। বার্মিংহাম ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের চার নম্বর হলে হোসেন আলী ০-৫ উইন পয়েন্টে হারেন উগান্ডার আইজ্যাক কিবিরার কাছে। ওয়েল্টারওয়েটে হোসেন আলী কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। এর মধ্যদিয়ে বক্সিংয়ে হতাশা নিয়ে শেষ হলো। গত সোমবার ফেয়ারওয়েটে সেলিম হোসেন ভারতের হুসামউদ্দিনের কাছে নকআউট হন। লাইট ওয়েল্টার ওয়েটে সুরকৃষ্ণ চাকমা রিংয়ে নামতে পারেননি উচ্চ রক্তচাপ থাকায়।
আহৃত