ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে পেটানোর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মুজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলায় আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারের ছোটভাই মো. জাপান মোল্যাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি পারুল বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গায় রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে বাসের টিকিট নিয়ে কাউন্টার মাস্টার জাপান মোল্যার সঙ্গে মুজাহিদের প্রতিবেশী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মোসলেম খানের ছেলে রমিজের ঝামেলা হয়। রমিজ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমের সহযোগিতা চান। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মুজাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জাপান মোল্যা ও তার সহকারীরা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে মুজাহিদের ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্মরত চিকিৎসক ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মুজাহিদকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। তার ওপর হামলা চালানো জাপান মোল্যা আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমানের ছোট ভাই। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহত সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, হামলার সময় ২ নম্বর আসামি পারুল বেগম তার গলায় ওড়না দিয়ে প্যাঁচ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আসামিরা তাকে মারধর ও পিটিয়ে আহত করে।
আহত মুজাহিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম বলেন, সহকর্মী মুজাহিদ হামলার ঘটনায় সোমবার বিকালে প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যমকর্মীরা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি পারুল বেগমকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আহৃত