1. admin@banglarakash.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
🚨 সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদপুরের কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান ডিবি পুলিশের হাতে আটক ফরিদপুরে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স পিএলসি এর ট্রেনিং এবং সেলিব্রেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত। 🚨 ফরিদপুরে নৃসংশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘তান্ময় শেখ’ কে র‍্যাব-১০ এর গ্রেফতার 🎉 ফরিদপুর শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও যানজট নিরসনে নতুন উদ্যোগ: অনাথের মোড়ে ট্রাফিক আইল্যান্ড নির্মাণ শুরু! 🏛️ বেতন বৈষম্য নিরসন: ফরিদপুর বাকাসস-এর স্মারকলিপি প্রদান। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে নবাগত ইউএনও’র পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে জাতীয় যুবশক্তির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত: নেতৃত্ব দেবে তরুণরা, সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে যুবশক্তি 🏛 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম ক্লাব ‘জাবিয়ান ক্লাব লিমিটেড’-এর আত্মপ্রকাশ শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ও গুণগত মনোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা সেমিনার অনুষ্ঠিত ‘নিরপেক্ষ’ ৬৩৯ ওসির সন্ধানে পুলিশ সদর দপ্তর

‘ভুল রিপোর্টে সুস্থ মানুষ ক্যানসারের রোগী’

বাংলার আকাশ ডট কম email:banglar.akash.sif@gmail.com
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ১৬৯ Time View
INDIA-POLITICS-CONGRESS-GANDHI

রাজধানী ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় বেশ কিছুদিন ধরে সপরিবারে অবস্থান করছিলেন ইতালি প্রবাসী ফারহানা শেখ। সম্প্রতি দেশটিতে তিনি ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাই নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসাবে ১৪ বছর বয়সি ছেলের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। আর এ পরীক্ষা করাতে গিয়ে তিনি বিপাকে পড়েন। প্রথমে দেশের দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে ক্যানসারের ভুল তথ্য দেওয়া হয়। রোগ নির্ণয়ের এমন ভোগান্তিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী। পরে অবশ্য দেশের দুটি এবং কলকাতার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। এমন ভোগান্তির অবসান চেয়েছেন ভুক্তভোগী ফারহানা। পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট পর্যালোচনা এবং মান নির্ণয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে লাব থাকা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

এ বছর জুনে ইতালির নাগরিক ফারহানা ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানে ছেলে আরাফাত রহমানের বুকে প্রথমে এক্স-রে পরে সিটিস্ক্যান করান। এখানকার রিপোর্টে আরাফাতের শরীরে দুরারোগ্য ক্যানসারের জীবাণু রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে ছেলেটির পরীক্ষা করানো হয়। সেখানকার রিপোর্টেও ক্যানসারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। পরপর দুটি রিপোর্টে ক্যানসারের অস্তিত্ব পাওয়ায় পরিবারটির ওপর ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। এ দিশেহারা অবস্থার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পরীক্ষা করানো হয়। সেখানকার রিপোর্টে বলা হয়-পরীক্ষায় কোনো ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়নি। এরপর আরও নিশ্চিত হতে রাজধানীর পান্থপথের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানো হয়। এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টেও ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়নি। দেশে দুই ধরনের রিপোর্ট পাওয়ার পর কলকাতার একটি হাসপাতালে আরাফাতের বায়োপসি করা হলে সেখানকার রিপোর্টে ক্যানসারের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী ফারহানা শেখ বলেন, আমার ছেলের তেমন কোনো অসুস্থতা ছিল না। কেবল সর্দি, কাশি ও সামান্য বুকে ব্যথা ছিল। যেহেতু দেশের বাইরে যাব-তাই সাধারণ চেকআপের অংশ হিসাবে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই। কিন্তু রিপোর্ট পাওয়ার পর যে আমাদের কী অবস্থা দাঁড়ায় তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। দেশি-বিদেশি শেষের তিনটি রিপোর্ট কোনো ক্যানসারের আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, তাহলে আমার প্রশ্ন-পপুলার ও প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট কী রিপোর্ট দিল? এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পপুলার ও প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমার নিজের স্ট্রোক হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।

ফারহানা বলেন, নিজ উদ্যোগে বিএসএমএমইউতে ছেলের পরীক্ষা করাই। এরপর বিএসএমএমইউর চিকিৎসকের পরামর্শে পান্থপথের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও পরীক্ষা করাই। চারটির মধ্যে দুটির খারাপ এবং দুটির ভালো রিপোর্ট আসার কারণে ঈদের আগমুহূর্তে ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় যাই। এবারের ঈদে আমি কোরবানিও দিতে পারিনি। তবে কলকাতার হাসপাতালের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমার মনে যে অনন্দ দেখা দেয় তা ঈদের খুশির চেয়েও অনেক বড় ছিল। এমআরআই হাসপাতালের পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে বলেন, ক্যানসার তো দূরের কথা, আরাফাতের কোনো অসুখই নেই। তাই তাকে কোনো ওষুধও দেওয়া হয়নি। অথচ দেশে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্যানসারের সাইজ পর্যন্ত বলে দিয়েছিল। ওই দুটি রিপোর্ট পাওয়ার পর আমার যে কষ্ট হয়েছে, যে শ্রম গেছে তা বলে বোঝানোর মতো নয়। এছাড়া অনেক টাকাও খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি চাই না-আর কোনো মা এ ধরনের ভুক্তভোগী হোন।

বিএসএমএমইউ-এর অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল রোগীর অবস্থার সঙ্গে আগের দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কারণ রিপোর্ট দুটিতে বলা হয়েছে-এটা এক ধরনের টিউমার। টিউমারটিতে ক্যানসারের জীবাণু আছে। প্রকৃত অর্থে রোগীর শরীরে কোনো ক্যানসার ছিল না। তিনি বলেন, কাউকে ক্যানসারের রোগী হিসাবে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসা দেওয়া যায় না। অনেক স্টাডি করে তার চিকিৎসা দিতে হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে একটি সেন্ট্রাল রেফারেল ল্যাব থাকা উচিত। রিপোর্ট নিয়ে এ ধরনের সন্দেহ দেখা দিলে কেন্দ্রীয়ভাবে ওই ল্যাবে বোর্ডের মাধ্যমে যৌথ সিদ্ধান্ত দেওয়া যেতে পারে।

ভুল রিপোর্ট নিয়ে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে চাননি। তবে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মিরপুর শাখার ম্যানেজার মাহমুদ রুশো যুগান্তরকে বলেন, আরাফাতের রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। রিপোর্টে ভুল কিছু আসেনি। এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।

আহৃত

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LatestNews
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT