শিরোনামঃ
ফরিদপুরে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ। ফরিদপুরে খেয়ালী ‌ নাট্য দলের ‌ ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‌ দুদিন ব্যাপী নাট্য উৎসব সমাপ্ত প্রতারক মেহেদী হাসান সুমনকে ধরিয়ে দিন- ফরিদপুরে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে লাল দলের জয় লাভ ফরিদপুর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ফরিদপুরে  বিকাশ-প্রথম আলো ট্রস্টের উদ্যোগে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে বই বিতরণ ফরিদপুরে আলোম, হান্নান ও ইউসুব গংদের সরকারী রাস্তার ইট চুরি রুখে দিলো এলাকাবাসী ফরিদপুরে হত্যা মামলাকে পুঁজি করে আ.লীগ ও বিএনপি নেতাদের মিলেমিশে চাঁদাবাজি! জাসাস ফরিদপুর বিভাগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ওসির অপসারণের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন পুলিশি বাধায় মানববন্ধন করতে পারেনি ফরিদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ফরিদপুর জেলা বিএনপির নেতা ফরহাদ হোসেন ঝিনুকে কুপিয়ে জখম ফরিদপুরে রেলওয়ের ফিল্ড কানুনগোর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ২৩ অপহরণ অভিযোগের সেই মেয়েটি অবশেষে ফরিদপুরে সেফ হোম থেকে মুক্ত শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে ‌রোটারি ক্লাব অফ ফরিদপুরের উদ্যোগে অসহায় দুস্থ্য মানুষের মধ্যে শাড়ি বিতরণ ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে ছাত্র জনতার আমরণ অনশন কর্মসূচি  বাড়িতেই তৈরি হতো নকল বিদেশি মদ, ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৩
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন

‘ভুল রিপোর্টে সুস্থ মানুষ ক্যানসারের রোগী’

বাংলার আকাশ ডট কম email:banglar.akash.sif@gmail.com
Update : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
INDIA-POLITICS-CONGRESS-GANDHI

Spread the love

রাজধানী ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় বেশ কিছুদিন ধরে সপরিবারে অবস্থান করছিলেন ইতালি প্রবাসী ফারহানা শেখ। সম্প্রতি দেশটিতে তিনি ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাই নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসাবে ১৪ বছর বয়সি ছেলের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। আর এ পরীক্ষা করাতে গিয়ে তিনি বিপাকে পড়েন। প্রথমে দেশের দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে ক্যানসারের ভুল তথ্য দেওয়া হয়। রোগ নির্ণয়ের এমন ভোগান্তিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী। পরে অবশ্য দেশের দুটি এবং কলকাতার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। এমন ভোগান্তির অবসান চেয়েছেন ভুক্তভোগী ফারহানা। পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট পর্যালোচনা এবং মান নির্ণয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে লাব থাকা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

এ বছর জুনে ইতালির নাগরিক ফারহানা ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানে ছেলে আরাফাত রহমানের বুকে প্রথমে এক্স-রে পরে সিটিস্ক্যান করান। এখানকার রিপোর্টে আরাফাতের শরীরে দুরারোগ্য ক্যানসারের জীবাণু রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হতে বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে ছেলেটির পরীক্ষা করানো হয়। সেখানকার রিপোর্টেও ক্যানসারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। পরপর দুটি রিপোর্টে ক্যানসারের অস্তিত্ব পাওয়ায় পরিবারটির ওপর ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। এ দিশেহারা অবস্থার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পরীক্ষা করানো হয়। সেখানকার রিপোর্টে বলা হয়-পরীক্ষায় কোনো ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়নি। এরপর আরও নিশ্চিত হতে রাজধানীর পান্থপথের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানো হয়। এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টেও ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়নি। দেশে দুই ধরনের রিপোর্ট পাওয়ার পর কলকাতার একটি হাসপাতালে আরাফাতের বায়োপসি করা হলে সেখানকার রিপোর্টে ক্যানসারের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী ফারহানা শেখ বলেন, আমার ছেলের তেমন কোনো অসুস্থতা ছিল না। কেবল সর্দি, কাশি ও সামান্য বুকে ব্যথা ছিল। যেহেতু দেশের বাইরে যাব-তাই সাধারণ চেকআপের অংশ হিসাবে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই। কিন্তু রিপোর্ট পাওয়ার পর যে আমাদের কী অবস্থা দাঁড়ায় তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। দেশি-বিদেশি শেষের তিনটি রিপোর্ট কোনো ক্যানসারের আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, তাহলে আমার প্রশ্ন-পপুলার ও প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট কী রিপোর্ট দিল? এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পপুলার ও প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমার নিজের স্ট্রোক হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।

ফারহানা বলেন, নিজ উদ্যোগে বিএসএমএমইউতে ছেলের পরীক্ষা করাই। এরপর বিএসএমএমইউর চিকিৎসকের পরামর্শে পান্থপথের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও পরীক্ষা করাই। চারটির মধ্যে দুটির খারাপ এবং দুটির ভালো রিপোর্ট আসার কারণে ঈদের আগমুহূর্তে ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় যাই। এবারের ঈদে আমি কোরবানিও দিতে পারিনি। তবে কলকাতার হাসপাতালের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমার মনে যে অনন্দ দেখা দেয় তা ঈদের খুশির চেয়েও অনেক বড় ছিল। এমআরআই হাসপাতালের পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে বলেন, ক্যানসার তো দূরের কথা, আরাফাতের কোনো অসুখই নেই। তাই তাকে কোনো ওষুধও দেওয়া হয়নি। অথচ দেশে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্যানসারের সাইজ পর্যন্ত বলে দিয়েছিল। ওই দুটি রিপোর্ট পাওয়ার পর আমার যে কষ্ট হয়েছে, যে শ্রম গেছে তা বলে বোঝানোর মতো নয়। এছাড়া অনেক টাকাও খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি চাই না-আর কোনো মা এ ধরনের ভুক্তভোগী হোন।

বিএসএমএমইউ-এর অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল রোগীর অবস্থার সঙ্গে আগের দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কারণ রিপোর্ট দুটিতে বলা হয়েছে-এটা এক ধরনের টিউমার। টিউমারটিতে ক্যানসারের জীবাণু আছে। প্রকৃত অর্থে রোগীর শরীরে কোনো ক্যানসার ছিল না। তিনি বলেন, কাউকে ক্যানসারের রোগী হিসাবে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসা দেওয়া যায় না। অনেক স্টাডি করে তার চিকিৎসা দিতে হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে একটি সেন্ট্রাল রেফারেল ল্যাব থাকা উচিত। রিপোর্ট নিয়ে এ ধরনের সন্দেহ দেখা দিলে কেন্দ্রীয়ভাবে ওই ল্যাবে বোর্ডের মাধ্যমে যৌথ সিদ্ধান্ত দেওয়া যেতে পারে।

ভুল রিপোর্ট নিয়ে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে চাননি। তবে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মিরপুর শাখার ম্যানেজার মাহমুদ রুশো যুগান্তরকে বলেন, আরাফাতের রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। রিপোর্টে ভুল কিছু আসেনি। এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।

আহৃত


Spread the love


এই বিভাগের আরো খবর

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১