গল টেস্টের চতুর্থ দিনে ম্যাচ পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এমনিতেই চতুর্থ দিন থেকে উইকেট কঠিন হতে থাকে। কিন্তু ৩৪২ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানি ব্যাটাররা দেখালেন টেস্ট ব্যাটিংয়ের চূড়ান্ত প্রদর্শনী। আব্দুল্লাহ শফিকের অপরাজিত সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক বাবর আজমের ফিফটিতে পাকিস্তান শিবিরে জয়ের সুবাস বয়ে যাচ্ছে।
আজ পাকিস্তানের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। শেষ দিনে দলটির প্রয়োজন মাত্র ১২০ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট। ১২০ রান তুলে ফেলতে পারলেই ইতিহাস গড়া হয়ে যাবে পাকিস্তানের।
শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্যটা ৩৪২ রানের। এমন বিশাল লক্ষ্য পাকদের কাছে রীতিমতো মামুলি হয়ে গেছে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের সেঞ্চুরিতে। সঙ্গে বাবর আজমের অর্ধশতক চতুর্থ দিনশেষে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে তিন উইকেটের বিনিময়ে ২২২ রান।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৭ রান যোগ করে পাকিস্তানের সামনে যখন সাড়ে তিনশ ছোঁয়া লক্ষ্য ঝুলিয়ে দিয়েছিল শ্রীলংকা, তখন সেটা বেশ বড় বলেই মনে হচ্ছিল। এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ডই যে ২৬৮ রানের!
তবে এই পরিসংখ্যানের সামনে পাকিস্তান ভড়কে যায়নি। আব্দুল্লাহ শফিক আর ইমাম উল হকের ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় দলটি। তবে ইমামের বিদায়ের পর আজহার আলি ফিরলে কিছুটা দুশ্চিন্তাই ভর করে বসে পাক শিবিরে।
এর পর বাবর আজম ক্রিজে আসেন। চতুর্থ দিনের টার্নিং উইকেটে ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দেন আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে। নিজে পান অর্ধশতকের দেখা, ছুঁয়ে ফেলেন টেস্টে ৩০০০ রানের মাইলফলকও।
দিনের খেলার যখন বাকি আর মাত্র ওভার সাতেক, তখনই প্রবাথ জয়াসুরিয়ার দারুণ এক টার্নে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেট খুইয়ে বসেন তিনি, ফেরেন ৫৫ রানে।
এর একটু আগে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া আব্দুল্লাহ শফিক অবশ্য দিন শেষ করেছেন অপরাজিত থেকেই। ১১২ রানে দিন শেষ করা তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। দুজনের ব্যাটে করেই শেষ দিনে আজ ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান।
(আহৃত)