1. admin@banglarakash.com : admin :
August 24, 2025, 7:23 am

ঋণখেলাপি করার নীতিতে বড় ছাড়

বাংলার আকাশ ডট কম email:banglar.akash.sif@gmail.com
  • Update Time : Thursday, June 23, 2022,
  • 93 Time View
Spread the love

 

নিয়মিত ঋণকে খেলাপি করার প্রচলিত নীতিমালায় আরও বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের কিস্তির আকার ও পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও ওই গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। শিল্প, কৃষি খাতে মেয়াদি ঋণ, চলতি মূলধন ঋণসহ সব ধরনের ঋণে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

করোনার নেতিবাচক প্রভাব, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও এটি আপলোড করা হয়েছে।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে ঋণখেলাপি করার নীতিমালা শিথিল করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঋণ বা ঋণের কিস্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে না পারলেও যাতে গ্রাহকদের খেলাপি করা না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।

সার্কুলারে বলা হয়, করোনার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব এখনো মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ সব ধরনের পণ্য ও পরিবহণ ব্যয় বেড়েছে। এসব কারণে ঋণগ্রহীতারা তাদের প্রদেয় ঋণের কিস্তির সম্পূর্ণ অংশ পরিশোধ করতে পারছেন না। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখা ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধের নীতিমালা করা হয়েছে।

বড় শিল্পে বিতরণ করা ঋণ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত থাকলে ওইসব ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে প্রদেয় কিস্তির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৬০ শতাংশ এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৭৫ শতাংশ আলোচ্য ত্রৈমাসিকের শেষ কার্যদিবসে পরিশোধ করলে ওইসব ঋণকে খেলাপি করা যাবে না।

তবে এপ্রিল পর্যন্ত কোনো ঋণখেলাপি থাকলে তারা এ সুবিধা পাবেন না। কিস্তির বাকি অর্থ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও এক বছর বাড়ানো যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমকিস্তি বা ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে কিস্তি নির্ধারণ করে তা পরিশোধ করা যাবে। ফলে মেয়াদি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ল।

কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও কৃষি খাতে বিতরণ করা মেয়াদি ঋণ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত থাকলে সেগুলোর বিপরীতেও বিশেষ ছাড় মিলবে। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ জুনের মধ্যে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৩০ শতাংশ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৪০ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে তাদের খেলাপি করা যাবে না। তবে এপ্রিলে এ খাতের কোনো ঋণ খেলাপি থাকলে তারা এ সুবিধা পাবেন না।

এতে বলা হয়, ১ এপ্রিলে যেসব চলমান ঋণ নিয়মিত রয়েছে সেগুলো জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তিনটি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করলে ওই ঋণকে খেলাপি করা যাবে না।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকবলিত জেলা- সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে কৃষিঋণ খেলাপি করার ক্ষেত্রেও বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে। ওইসব অঞ্চলে বিতরণ করা কৃষি ঋণের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করা না হলে কোনো গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না।

অতি ক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিতরণ করা মেয়াদি ঋণের মধ্যে যেগুলো ১ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা কিস্তি পরিশোধে ছাড় পাবেন। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই গ্রাহকদের খেলাপি করা যাবে না।

এ খাতের চলতি মূলধন ঋণের মধ্যে যেগুলোর মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিক্রম হয়েছে, কিন্তু পরিশোধিত হয়নি বা খেলাপি হওয়ার পর নবায়নও করা হয়নি। ঋণের সীমাও অতিক্রম হয়ে গেছে। ওইসব ঋণের সীমার বেশি অংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে তা নবায়ন করা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়, ওইসব নিয়মের মধ্যে কোনো গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের ঋণকে যথানিয়মে খেলাপি করা যাবে। এ নীতিমালার আওতায় যেসব ঋণগ্রহীতাকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাদের ঋণের বিপরীতে ১ এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আদায় বা আরোপ করা যাবে না। বিশেষ সুবিধায় নবায়ন করা ঋণসহ অন্যান্য সময়ে নবায়ন করা ঋণের বিপরীতেও এ সুবিধা পাওয়া যাবে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারলে ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

(আহৃত)


Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LatestNews
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT