1. admin@banglarakash.com : admin :
November 17, 2025, 5:59 am
শিরোনাম :
ফরিদপুর বিভাগের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খসরুর মতবিনিময় সভা: ‘স্কিল ডেভেলপমেন্টে জোর দেবে বিএনপি’ ফরিদপুরে মোবাইল কোর্টের অভিযান: ‘টেরাকোটা চায়নিজ রেস্টুরেন্ট’-কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ফরিদপুরে বাজুসের উদ্যোগে বিষ্ণুপদ কর্মকারের শোক সভা ও মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান ফরিদপুরে আইডিইবি’র ৫৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলার ৮ দলের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে নেই যুক্তরাষ্ট্র, নেতৃত্বের জায়গা নিয়েছে চীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন, যোগ দিয়েছেন ৫ দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামারা সাউন্ডবাংলা-গ্লোবাল এডুকেশন হাব-সিডনি শিক্ষা সম্মাননা: এসএসসি-এইচএসসিতে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শতাধিক শিক্ষার্থী পেল ‘মেধাবীবাংলা’ সম্মাননা বুনো হাতিরা এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কবলে, প্রাণ ও ফসল ঝুঁকিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি প্রায় চূড়ান্ত, দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

হবিগঞ্জে বাড়ছে বন্যা, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ

বাংলার আকাশ ডট কম email:banglar.akash.sif@gmail.com
  • Update Time : Thursday, June 23, 2022,
  • 121 Time View
Spread the love

উজান-ভাটি দুদিক থেকেই চাপে পড়েছে হবিগঞ্জ। সিলেট ও সুনাগঞ্জের বন্যার পানি কালনি-কুশিয়ারা দিয়ে নামছে হবিগঞ্জে। অন্যদিকে জেলার ভাটি এলাকা দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। এতে উজান-ভাটি দুদিক থেকেই হবিগঞ্জে ঢুকছে পানি। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৭ লাখ মানুষ। এতে দুর্ভোগের অন্ত নেই বানভাসি মানুষের।

জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জেলায় বন্যার পানি আঘাত হানে। শুরুতেই বাড়তে থাকে কালনী, কুশিয়ারা, খোয়াইসহ বিভিন্ন নদীর পানি। কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবল বেগে নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করে। বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।

মুহূর্তের মধ্যেই প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্রমেই পানি বাড়তে থাকায় আক্রান্ত হয় বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলাও। আর সর্বশেষ বুধবার থেকে নতুন করে প্লাবিত হতে থাকে বাহুবল উপজেলাও।

এদিকে প্রতিদিনই বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে খাদ্য সহায়তা দিয়ে চলেছেন জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা। মাঠে আছেন জনপ্রতিনিধিরাও।

জেলা প্রশাসন বলছে, বানভাসিদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। সেই সঙ্গে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য জেলায় ৯৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারণে উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। রাস্তাঘাট, হাটবাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। বাজারের দোকানপাট ডুবে গেছে।

লাখাই গ্রামের বাসিন্দা আবুল মনসুর রনি জানান, পানির অবস্থা খুব খারাপ। প্রতিনিয়তই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল বশর মাহমুদ বলেন, গত ১৬ দিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। হঠাৎ আমার ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। পানিতে ভিজেই অনেক কষ্ট করে মালামাল সরাতে হয়েছে। ফ্রিজ, ফার্নিচার সব পানিতে ভিজছে। সরাতে পারিনি।

তিনি বলেন, পানির মধ্যে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিতে ডুবন্ত ঘরের টিন, পিলার চুরি হয়ে যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, জেলার চার উপজেলা বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার থেকে বাহুবল উপজেলায়ও পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বন্যায় আক্রান্তদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি। তারা গবাদিপশু বা অন্যান্য জিনিসের কারণে বাড়ি ছেড়ে গ্রামের উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। কেউ আবার উঁচুতে আত্মীয়স্বজন বা প্রতিবেশীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বন্যায় জেলার প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

(আহৃত)


Spread the love

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LatestNews
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT